ঢাকা, রবিবার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪

রমজানের জন্য যথেষ্ট পরিমানে পণ্যের মজুদ রয়েছে

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১১:৩৭, ৫ এপ্রিল ২০১৮ | আপডেট: ১১:২১, ১৫ এপ্রিল ২০১৮

আর রমজান মাসের বেশি দিন নেই। রমজান মাসে সাধারণত কিছু পণ্যের দাম বাড়ে। এর জন্য ব্যবসায়ীরা সাধারণত পণ্যের সরবরাহ নেই বলে অভিযোগ করে থাকনে। তবে এবার রমজান মাসে যতেষ্ট পরিমাণে পণ্য মজুদ আছে বলে জানা গেছে। এই মাসে ইফতারি ও সেহরির উপকরণ হিসেবে ব্যবহূত কয়েকটি পণ্যের চাহিদা অন্য সময়ের তুলনায় বেড়ে যায়। ভোজ্যতেল, চিনি, ছোলা, ডাল, খেজুর ও পেঁয়াজের চাহিদা বছরের অন্যান্য সময়ের তুলনায় দ্বিগুণ বা তার বেশি হয়ে যায়। এসব পণ্য আমদানিনির্ভর। এজন্য ব্যবসায়ীরা রমজানের বেশ আগে থেকেই আমদানির প্রস্তুতি নেন। সম্প্রতি ট্যারিফ কমিশনের তৈরি করা এক প্রতিবেদনের তথ্যমতে, রমজানে বেশি বিক্রি হয় এমন পণ্যের মজুদ বাড়াচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। কিছু পণ্যের বার্ষিক চাহিদার প্রায় সমান পরিমাণ পণ্য ৮ মাসেই আমদানি হয়েছে।

বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদও মনে করছেন এ বছর রমজানের প্রয়োজনীয় পণ্যের পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে। ফলে বাজারে পণ্যমূল্যও স্বাভাবিক থাকবে। ব্যবসায়ীরাও পণ্যমূল্য স্বাভাবিক থাকবে বলে আশ্বস্ত করেছেন। তবে প্রতি বছরই রমজানের আগে পর্যাপ্ত পণ্য রয়েছে এবং দাম বাড়বে না- এমন বলে থাকেন ব্যবসায়ীরা। কিন্তু রমজান শুরুর আগে অনেক পণ্যের দাম বেড়ে যায়। এ জন্য ট্যারিফ কমিশন আগে থেকেই রমজানে চাহিদা বাড়ে এমন পণ্যগুলোর আমদানি তথ্য পর্যালোচনা করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে একটি ধারণাপত্র দিয়েছে। এতে দেখানো হয়েছে, রমজানের প্রয়োজনীয় পণ্যের কোনো ঘাটতি নেই। পর্যাপ্ত আমদানি হয়েছে।

ভোজ্যতেল :ট্যারিফ কমিশনের হিসাবে দেশে বছরে ১৫ লাখ টন ভোজ্যতেলের চাহিদা রয়েছে। প্রতি মাসে গড়ে এক লাখ ২০ হাজার টন করে ভোজ্যতেল লাগে। তবে রমজান মাসে চাহিদা বেড়ে আড়াই লাখ টন হয়। চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আট মাসে পরিশোধিত ও অপরিশোধিত মিলিয়ে ১২ লাখ ৭১ হাজার টন ভোজ্যতেলের এলসি নিষ্পত্তি হয়েছে। এ ছাড়া দেশে উৎপাদিত দুই লাখ টন সরিষার তেল বাজারে রয়েছে। অর্থাৎ, পুরো বছরের চাহিদার সমান ভোজ্যতেল আট মাসেই ব্যবসায়ীদের হাতে পৌঁছেছে।

চিনি :ইফতারিতে সবচেয়ে বেশি চাহিদা থাকে শরবতের। শরবত তৈরির প্রধান উপাদান চিনি। এ ছাড়া ইফতারি ও সেহরির অন্যান্য খাবার তৈরিতে চিনির ব্যবহার হয়। প্রতি মাসে গড়ে এক লাখ টন চিনির চাহিদা রয়েছে দেশে। রমজান মাসে তার চাহিদা হয় তিন লাখ টন। ট্যারিফ কমিশন জানিয়েছে, চলতি অর্থবছরের প্রথম আট মাসে ১৫ লাখ ৬৩ হাজার টন চিনি আমদানির এলসি নিষ্পত্তি হয়েছে। দেশের কারখানাগুলো বছরে এক লাখ

মসুর ডাল :দেশে বছরে চার লাখ টন মসুর ডালের চাহিদা রয়েছে। এর মধ্যে রমজান মাসেই লাগে ৭০ হাজার টন। কৃষি মন্ত্রণালয়ের হিসাবে, দেশে গত অর্থবছরে তিন লাখ ৫৫ হাজার টন মসুর ডাল উৎপাদিত হয়েছে। চলতি অর্থবছরের আট মাসে এক লাখ ৪৪ হাজার টনের এলসি নিষ্পত্তি হয়েছে।

ছোলা :দেশের ইফতারির প্রধান খাবার ছোলা-মুড়ি। সারাবছর দেশে ছোলার চাহিদা ১ লাখ টন। এর মধ্যে শুধু রমজান মাসেই চাহিদা থাকে ৮০ হাজার টনের। এ পণ্য দেশে সামান্যই উৎপাদন হয়। এ বছর সাড়ে ৫ হাজার টন দেশে উৎপাদন হয়েছে। চলতি অর্থবছরের প্রথম আট মাসে আমদানি হয়েছে ২ লাখ ২২ হাজার টন। দেশের চাহিদার দ্বিগুণ পরিমাণে ছোলা রয়েছে ব্যবসায়ীদের হাতে।

খেজুর : দেশে সারাবছর যে খেজুর বিক্রি হয় তার ৯৮ ভাগের বেশি বিক্রি হয় রমজান মাসে। ট্যারিফ কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, সারা বছর ২০ হাজার টন খেজুর বিক্রি হয়। এর মধ্যে রমজান মাসে বিক্রি হয় ১৮ হাজার টনের বেশি। সম্পূর্ণ আমদানিনির্ভর এ পণ্য ৮ মাসে ২০ হাজার ৭০০ টন আমদানি হয়েছে।

ট্যারপি কমিশনের তথ্যমতে এবার রমজানে যতেষ্ট পরিমাণে এসব পণ্য মজুদ রয়েছে।

এসএইচ/


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি