রমনা বটমূল ট্রাজেডির ১৬ বছর
প্রকাশিত : ১৫:৩৩, ১৩ এপ্রিল ২০১৭
১৬ বছর কেটে গেছে রমনা বটমূলে নববর্ষবরণ অনুষ্ঠানে বোমা হামলা ট্রাজেডির। দীর্ঘ এ সময়ে নানা জটিলতায় চূড়ান্ত নিষ্পত্তি হয়নি ১০ জনকে হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দায়ের করা মামলা দুটির। তবে ৮ আসামীর মৃত্যুদন্ড ও ৬ জনের যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়ে বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল ও ডেথ রেফারেন্সের কার্যক্রম চূড়ান্ত নিষ্পত্তির অপেক্ষায়। আগামি ১৪মে অ্যাটর্নি জেনারেল তার বক্তব্য উপস্থাপন শেষ করবেন বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
বাঙালী সংস্কৃতিতে ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে মানুষের মিলনমেলা হয় বর্ষবরণ উৎসবে। নতুন বছরকে গানে, কবিতায় বরণ করে নিতে থাকে নানা আয়োজন।
২০০১ সালেও রমনা বটমূলে ছায়ানটের এমন এক বর্ণিল আয়োজনে বাংলার রূপ, রস, গন্ধ আর আকুল সুরে মন্ত্রমূগ্ধ দর্শক।
হঠাৎ এক বিকট শব্দ ভোরের ¯িœগ্ধতা আর সুরকে স্তব্ধ করে দেয়। বোমা বিস্ফোরনের ভয়াবহতা ছিলো কল্পনাতীত। ঘটনাস্থলেই নিহত হন ৭ জন, পরে মারা যান আরো ৩ জন।
হামলাকারীর লক্ষ্য কোন নির্দিষ্ট ব্যাক্তি বা গোষ্ঠী ছিলনা, বাঙালী সংস্কৃতি ধ্বংসের একটি যজ্ঞ ছিল এই হামলা।
গুনতে গুনতে গড়িয়েছে ১৬ বছর। তবে বাঙালি ভুলতে পারেনি সেই ভয়াবহতা, এখনো তাড়া করে দু:সহ স্মৃতি। এদিকে নানা জটিলতায় প্রক্রিয়ায় হামলাকারীদের বিচারিক প্রক্রিয়া হয়েছে দির্ঘায়িত। ঘটনার পর.
মামলার বিস্তারিত
*২০০১ সালে দুটি মামলা হয়, একটি বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে, অপরটি হত্যা মামলা।
*২০০৮ সালে ২৯ নভেম্বর হত্যা মামলায় জঙ্গি নেতা মুফতি হান্নানসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল।
* ২০০৯ সালে ১৬ এপ্রিল অভিযোগ গঠন করে আদালত
* ২০১৪ সালে ২৩ জুন হত্যা মামলায় ৮ জনের ফাঁসি, ৬ জনের যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেয় ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালত।
* আপিল ও ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে চূড়ান্ত নিস্পত্তির অপেক্ষায়।
* বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে মামলা এখনো বিচারাধীন।
নানা জটিলতা ও দীর্ঘসূত্রিতায় পিছিয়ে যাওয়া আলোচিত এ মামলার দ্রুত চূড়ান্ত নিস্পত্তি হবে এমনটাই প্রত্যাশা সংশ্লিষ্টদের।