ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪

রহস্যময় সিঁড়ি

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৪:৪৪, ৪ জুলাই ২০১৮

কোনো কবরের যে দরজা ও সিঁড়ি থাকতে পারে, তা চিন্তার অতীত। কিন্তু এখানে তা-ই ঘটেছে। যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনের মল্টবি সেমেটারির ঘটনা এটি। ‘স্টেপস টু হেল’ বা সাদা বাংলায় ‘নরকের সিঁড়ি’— এই নামেই ডাকা হয় ওই সিড়িঁর ১৩টি ধাপকে। তবে ঠিক কী কারণে কবরে এই ১৩টি সিঁড়ি রয়েছে, তা এক রহস্য হিসেবেই থেকে গিয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শী প্যারানর্মাল বিষয়ক লেখক ডিএস ডুবি ‘এক্সেমপ্লোর’ ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তাঁর এক প্রতিবেদনে জানাচ্ছেন, মাটির লেভেল থেকেই এই ১৩টি ধাপ নেমে গিয়েছে নীচে। সিঁড়ির শেষে একটি দরজা রয়েছে, যা আদতে একটি পারিবারিক কবরের। কোনো কবরের যে দরজা থাকতে পারে, তা চিন্তার অতীত। কিন্তু এখানে তা-ই রয়েছে।

ডুবি জানান, এই সিঁড়ির পিছনে একটা গল্প রয়েছে। সেই গল্প অনুসারে, মাঝরাতে কেউ যদি ওই ১৩টি সিঁড়ি বেয়ে নেমে যান, তাহলে নাকি জাগতিক সব শব্দ তাঁর কান থেকে মুছে যাবে। মনে হবে, পৃথিবীর কিছুই আর জীবিত নেই। শেষ ধাপে পৌঁছে যদি পিছন ফিরে তাকান কেউ, তা হলে নাকি তাঁর সামনে ফুটে উঠবে নরকের দৃশ্য।

এই কাহিনিকে পরখ করতে অনেকে এগিয়েছেন এই সিঁড়ি বেয়ে। তাঁরা প্রত্যেকেই প্রায় উঠে এসেছেন ভয়াবহ অভিজ্ঞতা নিয়ে। একজন জানিয়েছেন, ১৬ বছর বয়সে মাঝরাতে তিনি তাঁর বন্ধুদের সঙ্গে সেই কবরখানায় গিয়েছিলেন। অনেক খুঁজে সেই সিঁড়িগুলোকে তাঁরা বের করেন।

কয়েক ধাপ পেরতেই তিনি অসুস্থ বোধ করেন। আর কয়েক ধাপ পরে মনে হয় তাঁর মাথাটা আর মাথার জায়গায় নেই। তীব্র ভয়ে তিনি ও তাঁর বন্ধুরা ওই জায়গা ত্যাগ করেন। আর একজনের বক্তব্য— সিঁড়ির শেষ দিকের ধাপে তিনি দমচাপা চিৎকার শুনতে পান। তাঁর মনে হয়, তাঁকে অন্ধকার গ্রাস করে নিচ্ছে। তিনি ফিরে এলে উপরে দাঁড়ানো বন্ধুরা জানান, তিনি সম্পূর্ণ অদৃশ্য হয়ে গিয়েছিলেন কিছুক্ষণের জন্য।

কী এই ‘নরকের সিঁড়ি’? কী এর রহস্য? আজও কোনও তল পাওয়া যায়নি। প্যারানর্মাল বিশেষজ্ঞদের অনেকেই বলেন, এটা নাকি একটা পোর্টাল, যা দিয়ে চলে যাওয়া যায় অন্য কোনও সময়মাত্রায়। সেটা ‘নরক’ কি না, তা নিয়ে অবশ্য কোনও মন্তব্য কেউ কখনও করেননি। 

সূত্র : এ বেলা।

/ এআর /


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি