রহস্যের জগত লুরে ক্যাভার্ন
প্রকাশিত : ১০:৪৪, ২৫ এপ্রিল ২০১৭
যুক্তরাষ্ট্রের জনপ্রিয় এবং দীর্ঘ গুহা গুলোর মধ্যে একটি লুরে ক্যাভার্ন। সমতল থেকে প্রায় দেড়শ’ ফুট নিচের এ’ স্থানটি প্রকৃতির এক অনন্য সৃষ্টি। লাখ লাখ বছরের ইতিহাস বুকে ধারণ করে আছে লুরে ক্যাভার্ন। প্রতিবছর হাজার হাজার পর্যটক আসেন এই রহস্যের জগতে।
লুরে ক্যাভার্ন। সমতল থেকে প্রায় দেড়শ’ ফুট মাটির নিচের এ গুহাটি রহস্যময় এক জগৎ। কোন এক দৈবশক্তি সবকিছুকে যেন পরিণত করেছে পাথরে। ছাদ থেকে নেমে এসেছে অসংখ্য সূচালো মাথাবিশিষ্ট লম্বাটে ধরনের পাথর, অনেকটা সুন্দরবনের ম্যানগ্রোভ অঞ্চলের শ্বাসমূলের মত।
পাহাড়ের ভেতর দিয়ে বয়ে চলা জলরাশি, খনিজ পদার্থ, বালি মাটি নিয়ে পাথুরে ছাদ চুঁয়ে নিচে পড়তে থাকে। হাজার হাজার বছর ধরে নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় ওই পানিমিশ্রিত বালি-মাটি মিলে একেকটি পিলার তৈরি হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়া অঙ্গরাজ্যের সেনানদোহা ভ্যালিতে এই গুহার অবস্থান। ১৮৭৮ সালে ক্যাম্পবেল ও কুইন্ট নামের দুই অভিযাত্রী লুরে ক্যাভার্ন আবিষ্কার করেন। দৈর্ঘ্যে এটি প্রায় ২ দশমিক ৪ কিলোমিটার।
বছরজুড়ে দর্শনার্থীদের ভীড়ে গমগম করে গোটা এলাকা। এখানে রয়েছে একটি উইশিং লেক। ইচ্ছা পূরণে লেকে কয়েন ফেলেন পর্যটকরা। বছরে প্রায় ৩০ হাজার ডলার আসে এখান থেকে- যা পরে দাতব্য প্রতিষ্ঠানে দান করা হয়।
আরও দেখুন ভিডিও
আরও পড়ুন