রাঙ্গামাটিয়া ধর্মপল্লীর শতবর্ষ জুবিলী উৎসব শুরু
প্রকাশিত : ২০:৪৫, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪
গাজীপুরের কালীগঞ্জে পবিত্র যীশু হৃদয় ক্যাথলিক ধর্মপল্লী রাঙ্গামাটিয়া প্রতিষ্ঠার শতবর্ষ পূর্তি জুবিলী উপলক্ষে দুইদিনব্যাপী উৎসব শুরু হয়েছে।
শুক্রবার সকালে গির্জা প্রাঙ্গণে বাদ্য বাজনার মাধ্যমে অনুষ্ঠানের শুরু হয়। ধর্মপল্লীর বিভিন্ন গ্রাম থেকে খ্রিস্টভক্তগণ র্যালি ও জুবিলীর শ্লোগানে গির্জা প্রাঙ্গণে প্রবেশ করেন।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ঢাকা ক্যাথলিক আর্চডায়োসিসের প্রধান ধর্মগুরু আর্চবিশপ বিজয় এন. ডি’ক্রুজ, ওএমআই এবং সহকারী বিশপ সুব্রত বনিফাস গমেজসহ বিভিন্ন ধর্মীয় ও সামাজিক নেতৃবৃন্দ গির্জা প্রাঙ্গনে স্থাপিত জুবিলীর বিশেষ স্মারক উন্মোচন করে শান্তির প্রতীক কবুতর অবমুক্ত করেন।
উপাসনায় প্রায় ২০ জন যাজক, উল্লেখযোগ্য সংখ্যক সন্ন্যাসব্রতী ব্রাদার, সিস্টার এবং প্রায় হাজার খ্রিস্টভক্ত অংশগ্রহণ করেন।
জুবিলীর বিশেষ খ্রিস্টযাগে (উপাসনা) প্রধান পুরোহিতের দায়িত্ব পালন করেন আর্চবিশপ বিজয় এন. ডি’ক্রুজ, ওএমআই। তাকে সহায়তা করেন সহকারী বিশপ সুব্রত বনিফাস গমেজ ও ধর্মপল্লীর পাল পুরোহিত ফাদার আলবিন গমেজ।
আর্চবিশপ বিজয় এন. ডি’ক্রুজ, ওএমআই খ্রিস্টযাগে তার উপদেশ বাণীতে ভাওয়াল অঞ্চলে খ্রিস্টবাণী প্রচারের প্রবাদ প্রতিম প্রচারক দোম আন্তনীয়র অবদান এবং রাঙ্গামাটিয়া ধর্মপল্লীর ইতিহাস তুলে ধরেন।
এ সময় তিনি বলেন,“রাঙ্গামাটিয়ার মানুষ অনেক উদার,আন্তরিক এবং অতিথিপরায়ণ। তাদের ঈশ্বরের প্রতি অগাধ বিশ্বাস ও আস্থা। সে কারণে এ ধর্মপল্লী ধর্মীয় জীবনে আহবানের জন্য প্রসিদ্ধ।” ইতিহাসের সাক্ষ্য তুলে ধরে তিনি রাঙ্গামাটিয়ার খ্রিস্টানদেরকে “ইস্রায়েল জাতি”-র সাথে তুলনা করেন।
খ্রিস্টযাগের পর জুবিলীর বিশেষ স্মরণিকার মোড়ক উন্মোচন করা হয়। যেখানে রাঙ্গামাটিয়া ধর্মপল্লীর ইতিহাস, ঐতিহ্য, স্বাতন্ত্র এবং গুরুত্বপূর্ণ তথ্য স্থান পেয়েছে। এরপর আর্চবিশপ বিজয় এন. ডি’ক্রুজ, ওএমআই এবং অতিথিবৃন্দ জুবিলীর বিশেষ কেক কেটে উপস্থিত সকলের সাথে সহভাগিতা করেন।
মিশনের পাল পুরোহিত ফাদার আলবিন গমেজ তার শুভেচ্ছা বক্তব্যে বলেন, “জুবিলী একটি আশীর্বাদ ও সুযোগ। জুবিলীর চেতনায় যেন আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে মিলন সমাজ গঠন করে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে পারি। তিনি জুবিলী অনুষ্ঠানকে সাফল্য মন্ডিত করে তোলার জন্য সকলকে ধন্যবাদ জানান।
পরে উপস্থিত অতিথিবৃন্দ এবং রাঙ্গামাটিয়া ধর্মপল্লীর বর্তমান ও প্রাক্তন পাল পুরোহিতদের বিশেষ সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়। বিকেলে ধর্মপল্লীর ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিভিত্তিক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এ সময় ধর্মপল্লীর শতবর্ষের ইহিহাস ও ঐতিহ্য সম্বলিত একটি বিশেষ ডকুমেন্টারি প্রদর্শিত হয়।
এমবি
আরও পড়ুন