রাজধানীজুড়ে কঠোর নিরাপত্তা বলয়
প্রকাশিত : ১২:৩৭, ৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৮
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার রায়কে ঘিরে আদালত চত্বরসহ পুরো ঢাকা নগরীতে ব্যাপক নিরাপত্তা নেওয়া হয়েছে। রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্টে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। গুরুত্বপূর্ণ সড়কে পুলিশ-র্যাবের বিশেষ টহল চলছে।
পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ সব মোড়ে বসানো হয়েছে চেকপোস্ট। কয়েক শিফটে ভাগ হয়ে দায়িত্ব পালন করছে পুলিশ। ডিএমপিতে কর্মরত ৩৪ হাজার পুলিশ সদস্যের প্রায় সবাইকে নিরাপত্তা ব্যবস্থায় সংযুক্ত করা হয়েছে।
আদালত চত্বরে চার স্তরের নিরাপত্তা বলয় তৈরি করা হয়েছে। কড়া নিরাপত্তার মধ্যে আইনজীবী ও গণমাধ্যমকর্মীদের প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে। আগে থেকে যেসব আইনজীবীর নাম নিবন্ধিত ছিল, শুধু তাদেরই আদালতে ঢুকতে দিচ্ছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। বেসরকারি টিভি চ্যানেলের ক্ষেত্রে শুধু রিপোর্টার ভেতরে প্রবেশের অনুমতি পাচ্ছেন।
রাজধানীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য পুলিশের পাশাপাশি রয়েছে র্যাব ও বিজিবি। র্যাবের ঢাকায় কর্মরত প্রায় তিন হাজার সদস্য মোতায়েন রয়েছে। এ ছাড়াও বিজিবির ২০ প্লাটুন সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মাধ্যমে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, সাধারণ দিনে ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকায় ৪৯টি থানা এলাকায় একরাতে চেকপোস্ট বসানো হয় সর্বোচ্চ একশোটি। কিন্তু খালেদা জিয়ার রায়ের ঠিক আগের রাতে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে কয়েকগুণ বেশি।
ডিএমপি জনসংযোগ শাখার উপ-কমিশনার মাসুদুর রহমান বলেন, ‘কেউ বিশৃঙ্খলা করার চেষ্টা করলে আইন অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
ডিএমপির একজন কর্মকর্তা জানান, ডিএমপির ৪৯টি থানায় নিয়মিতভাবে প্রায় পাঁচ হাজারেরও বেশি পুলিশ সদস্য দায়িত্ব পালন করেন। এর বাইরে ট্রাফিক বিভাগে আরও অন্তত তিন হাজার পুলিশ সদস্য কর্মরত থাকেন। এ ছাড়া ডিএমপির পাবলিক অর্ডার ম্যানেজমেন্ট– পিওএম এবং রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সের পাঁচ হাজার পুলিশ সদস্যকে নিরাপত্তার জন্য যোগ করা হয়েছে। দুই শিফটে ভাগ করে দায়িত্ব পালন করবেন তারা। রাতে যারা ডিউটি করছেন তারা সকালে ব্যারাকে ফিরে যাওয়ার আগেই ভোর থেকে নতুন করে ডিউটিতে এসেছেন পুলিশ সদস্যরা।
রাজধানীর গুলশান-৭৯ নম্বর সড়কে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বাসভবন ফিরোজার সামনে কড়া নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পুলিশ ওই সড়কের প্রবেশমুখে ব্যারিকেড দিয়ে রেখেছে। সেখানে সাধারণ মানুষ ও কোনো ধরনের যানবাহন ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না।
ডিএমপি সূত্র জানায়, কেউ যাতে কোনও নাশকতা করতে না পারে, এজন্য ভিন্ন ভিন্ন কৌশল নেওয়া হয়েছে।
একে/এসএইচ
আরও পড়ুন