রাজধানীজুড়ে পশু কোরবানির ব্যস্ততা
প্রকাশিত : ১৫:৪৭, ২ সেপ্টেম্বর ২০১৭ | আপডেট: ১৯:২৮, ৪ সেপ্টেম্বর ২০১৭
রাজধানীতে ঈদের প্রধান জামাত হয় সকাল ৮টায় জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে। রাষ্ট্রপ্রধান মো. আবদুল হামিদ, মন্ত্রিসভার সদস্য আর বিচারপতিসহ সর্বস্তরের মানুষ সেখানে ঈদের নামাজের পর দেশবাসীর কল্যাণে কামনায় মোনাজাতে হাত তোলেন। ঈদুল আজহার নামাজ শেষে নগরবাসীর পশু কোরবানি ইতোমধ্যে শেষ হয়ে এসেছে। এখন চলছে কসাইদের মাংস কাটা আর বিলি করার কাজ।
শনিবার সকালে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ঈদের নামাজ শেষ করে পৃথকভাবে সাধ্য অনুযায়ী পশু কোরবানি করেন নগরবাসী। তাদের এসব পশুর মাংস কাটার কাজে নিয়োজিত অসংখ্য কসাই। গরুর মূল্য অনুযায়ী প্রতি হাজারে ১০০ টাকা চুক্তিতে মাংস কাটার কাজ করছেন তারা। তবে এদের অধিকাংশই মৌসুমী কসাই।
চ্যামেলীবাগে সকাল থেকে ব্যস্ত সময় পার করছেন কসাই সাকিরুল ইসলাম। পেশায় তিনি কসাই, কাজ করেন শান্তিনগর বাজারে। প্রতি হাজারে ১০০ টাকা চুক্তিতে গরুর মাংস কাটার কাজ করছেন। সকাল সাড়ে ৮টা থেকে তিনি কাজ শুরু করেছেন। চলবে বিকাল পর্যন্ত। অনেকেই আবার মাংস কাটার কাজ শেষ করে শুরু করেছেন বিলি করার কাজ।
কোরবানির মাংস কাটায় ব্যস্ত একাধিক কসাই জানান, রাজধানীর কোরবানির মাংস কাটার কাজ পেতে ঢাকার বাইরে থেকেও প্রচুর কসাই ও সাধারণ মানুষরা এসেছেন। এছাড়াও রাজধানীর রিকশাচালক, দিনমজুরসহ বিভিন্ন পেশার মানুষ আজ কসাইয়ের কাজ করেন। অনেক নারীকে দেখা যায় কাজ করতে। তারাও কন্ট্রাকে ভূড়ি পরিস্কারের কাজ করছেন।
সিটি করপোরেশন সূত্রে জানা যায়, এবার রাজধানীবাসীর স্বাচ্ছন্দ্যে ঈদ উদযাপনে পশু কোরবানির ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সব বর্জ্য অপসারণের উদ্যোগ নিয়েছে দুই সিটি করপোরেশন। এসব পশু জবাই করতে দুই সিটি করপোরেশন এলাকায় ১ হাজার ১৭৪টি স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে। কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণের জন্য এবার সাড়ে ১৬ হাজারের বেশি স্থায়ী-অস্থায়ী পরিচ্ছন্নতাকর্মী মাঠে রয়েছেন তারা। সব বর্জ্য অপসারণ না হওয়া পর্যন্ত মাঠে থাকবেন তারা।
আর/ডব্লিউএন
আরও পড়ুন