চার দিনের ছুটি
রাজধানীতে ঈদের আমেজ, শহর ছেড়ে গ্রামে মানুষ
প্রকাশিত : ০৯:৫৭, ২৮ ডিসেম্বর ২০১৮
আর মাত্র দুই দিন বাকি। এরপর ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। আর এই নির্বাচনকে সামনে রেখে টানা চার দিনের ছুটির ফাঁদে পড়ছে দেশের ব্যাংকিং খাত। নির্বাচনের ভোটগ্রহণ, সাপ্তাহিক ছুটি ও ব্যাংক হলিডে উপলক্ষে ২৮ থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশের সব ব্যাংকে লেনদেন বন্ধ থাকবে। এদিকে ভোটের দিন ঘনিয়ে আসতেই ফাঁকা হয়ে গেছে রাজধানী। অনেকেই ভোট দিতে নিজ নিজ এলাকায় ফিরে গেছেন, আজও যাচ্ছেন। পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে অনেকেই এখন নিজ নিজ এলাকায়। কর্মব্যস্ত রাজধানীজুড়ে অনেকটা ঈদের আমেজ সৃষ্টি হয়েছে।
চার দিনের ছুটি শেষে আগামী ১ জানুয়ারি খুলবে ব্যাংক। টানা ছুটি ও ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচন উপলক্ষে ২৭ ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার) মধ্যে চলতি বছরের ব্যাংকের বার্ষিক হিসাব চূড়ান্ত করতে নির্দেশনা দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
অপরদিকে, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটের দিন, আগামী ৩০ ডিসেম্বর সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে সরকার। অর্থাৎ ওইদিন সব সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে।
অ্যালোকেশন অব বিজনেসে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের ক্ষমতাবলে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এক আদেশে এই ছুটি ঘোষণা করে।
আদেশে বলা হয়েছে, ‘নির্বাচন কমিশনের চাহিদা মোতাবেক সারা বাংলাদেশে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে ৩০ ডিসেম্বর রোববার সব সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি অফিস, প্রতিষ্ঠান, সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং সরকারি-বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীদের ভোটাধিকার প্রয়োগ ও ভোট গ্রহণের সুবিধার্থে নির্বাচনী এলাকায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হল।’
এবারের ভোটের দিন পড়েছে সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবসে। ফলে ভোটের আগের দুই দিনের সাপ্তাহিক ছুটিসহ একটানা তিন দিন ছুটি মিলেছে। পরপর তিন দিনের ছুটি ঘরপিপাসু মানুষের জন্য পরিণত হয়েছে ঈদের ছুটিতে। এর সঙ্গে কেউ আগের দুই দিন বুধ ও বৃহস্পতিবার ছুটি নিয়েছেন। এ ধরনের ব্যক্তিরা বড়দিনের ছুটিসহ ছয় দিন এলাকায় থাকার সুযোগ পাচ্ছেন। আবার অনেকে তিন দিনের সঙ্গে ভোটের পর আরও কয়েকদিন ছুটি নিয়ে দীর্ঘসময় বাড়ি থাকার ব্যবস্থা নিয়ে গেছেন। ফলে ভোটের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে, রাজধানী ততই ফাঁকা হচ্ছে।
এসএ/
আরও পড়ুন