রাজধানীতে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে তেলছাড়া ইফতারি
প্রকাশিত : ১৬:০৫, ২৫ মে ২০১৮
রোজায় সারাদিন উপবাস থাকার পর সন্ধ্যার ইফতারিতে বাহারি ধরণের খাবার না থাকলে কি হয়? তাই রোজ ইফতারিতে থাকে ছোলা, পেয়াজু, বেগুনি, আলুর চপ, চিকেন গ্রিল, চিকেন চপসহ বাহারি ধরণের খাবার। তবে গ্যাস্ট্রিক, আলসার, আইবিএস, ডায়াবেটিস ও হৃদরোগের কারণে অনেকেই লোভনীয় তেলেভাজা এ খাবার খেতে পারেন না।
তাদের কথা চিন্তা করেই তেলছাড়া খাবার নিয়ে এসেছে রাজধানীর খাবার সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান সাওল ক্যাফে। বাংলামোটরের নৌবাহিনী ভবনের সামনে দেখা যায়, একটি স্টলে থরে থরে সাজানো নানা পদের সাওল (সায়েন্স অ্যান্ড আর্ট অবলিভিং) ইফতারি। তেলছাড়া রান্না করা মুরগি ও গরুর হালিম, চিকেন গ্রিল, ছোলা, পিঁয়াজু, চিকেন চপ, চিকেন সাসলিক, লাউ পায়েস, আলু ও ডিমচপ, দই-চিঁড়া, খেজুর, লাল চিঁড়া, লাল আটা, মুড়ি, ব্যালান্সড ড্রিংকস। দামও তুলনামূলক কম। বিক্রি হচ্ছে প্যাকেজ ইফতারির প্যাকেটও। প্রতি প্যাকেট প্যাকেজ ইফতারি বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকায়। সাওল হার্ট সেন্টারের তত্ত্বাবধানে সাওল ক্যাফে এ ইফতারির পসরা সাজিয়েছে।
স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর তেলে ভরপুর প্রচলিত ইফতারির চেয়ে তেলহীন এ ইফতারি নানা রোগকে দূরে রাখতে সহায়ক হবে বলে মনে করেন পুষ্টিবিদরা। আর তাই প্রতিদিনই তেলছাড়া রান্না করা ইফতারি কিনতে বাংলামোটরে ভিড় করছেন শতশত লোক। এ বিষয়ে সাওল ক্যাফে পরিচালনার দায়িত্বে থাকা রেজাউল করিম লেনিন বলেন, ‘মানুষের ধারণা তেল ছাড়া মজাদার খাবার রান্না হয় না। এ ধারণা ভুল। জিহ্বায় এক ফোঁটা তেল নিয়ে দেখলেই বুঝবেন এর কোনো স্বাদ নেই। স্বাদের রহস্য মসলায়। আমরা প্রয়োজনীয় সব মশলা ব্যবহার করেই ইফতারি তৈরি করছি। ফলে সাওল ইফতারি স্বাদে অনন্য।’
লেনিন খান আরো বলেন, ‘বিনা তেলে ইফতারি তৈরি কিছুটা সময়সাপেক্ষ। আমরা প্রতিদিন মাত্র ২০০ প্যাকেট ইফতারি তৈরি করি। মাত্র দেড় থেকে দুই ঘণ্টার মধ্যেই ইফতারিগুলো শেষ হয়ে যায়। মানুষ স্বাস্থ্যকর খাবারের দিকে ঝুঁকছে, এটা বোঝা যায়।’
সাওল হার্ট সেন্টারের পুষ্টিবিদ মৌসুমী সরকার বলেন, ‘রমজানে দীর্ঘ সময় না খেয়ে থাকার ফলে পাকস্থলি ফাঁকা থাকে। ইফতারে মাত্রাতিরিক্ত তেলযুক্ত খাবার খেলে গ্যাস্ট্রিক, আলসার, পেটের পীড়া, বমিসহ নানা শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। এ ছাড়া তেলযুক্ত খাবার দীর্ঘমেয়াদি শারীরিক ক্ষতি করে। তাই এই মজাদার খাবারগুলো নিয়ে এসেছি।’
এমজে/
আরও পড়ুন