রাজধানীতে ট্রাফিক আইন না মানার প্রবণতা সব জায়গায়
প্রকাশিত : ২৩:০১, ২৫ জানুয়ারি ২০১৯
রাজধানীতে যান চলাচলে ট্রাফিক আইন শৃঙ্খলা মানছে না অনেকেই। সাধারণ মানুষের নিয়ম না মানার প্রবণতা আর ক্ষমতাবানদের আইন ভাঙার সংস্কৃতি, এ দুইয়ে চলছে, ডিএমপির ট্রাফিক শৃংখলাপক্ষ। বারবার বলেও, ফুটওভার ব্রিজে ওঠানো যাচ্ছে না অনেককেই। আইনশৃংখলা বাহিনীর বিরুদ্ধে আছে, উদাসীনতার অভিযোগ।
ব্যানার ফেস্টুনে ১৫ দিনের ট্রাফিক শৃখলা পক্ষের আয়োজনের ধারণা মিললেও, পাশে থাকা ফুটওভার ব্রীজ আর রাস্তার মাঝ দিয়ে পথচারিদের পারাপারের দৃশ্যটা পাল্টায়নি।
স্কাউট সদস্যদের অনুরোধের পরও ফুটওভার ব্রীজ ব্যবহারের অনীহা অনেকের মাঝে। ক্যামেরা দেখে কেউ কেউ ভুল স্বীকার করলেও, ছিলো তাড়াহুড়োর অজুহাতও।
সড়কে আইন অমান্য করে চলতে কম যান না সরকারের কর্তাব্যক্তিরাও। ধর্ম মন্ত্রনালয়ের একজন যুগ্মসচিবের উল্টোপথে বাধা দেয় পুলিশ। তবে ক্যামেরা দেখে অনেকটাই অপ্রস্তুত হয়ে যান তিনি।
সড়কে শৃংখলা ফেরাতে ১৩দফা নির্দেশনার একটি, দুই স্টপেজের মাঝে গাড়ির দরজা বন্ধ রাখা। কিন্তু সরকারি পরিবহন বিআরটিসি বাসেও সে নিয়মের বালাই নেই। চালক ও হেলপারের পরিচয় দৃশ্যমান থাকর নির্দেশনাও মানা হচ্ছে না।
বিমানবন্দর থেকে হাইকোর্ট মোড় পর্যন্ত ট্রাফিক বাতি স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে চলবে, এমন সিদ্ধান্ত খোদ পুলিশ প্রশাসনেই। কিন্তু এখন তারাই বলছেন, রাস্তার তুলনায় গাড়ি বেশি থাকায় তা বাস্তবায়ন অসম্ভব।
ঢাকার পুলিশ প্রধানের মতে, চলমান উন্নয়ন প্রকল্পের কারণে শৃংখলা ফেরানো যাচ্ছে না সড়কে। তবে, সবার সহযোগিতা পেলে নিরাপদ রাখা যাবে সড়ক পরিবহনকে।
আরও পড়ুন