‘রাজধানীতে নতুন কোন শিল্প-কারখানা গড়তে দেওয়া হবে না’
প্রকাশিত : ২২:০৩, ৫ অক্টোবর ২০১৮ | আপডেট: ২২:২৭, ৫ অক্টোবর ২০১৮
রাজধানী ঢাকা ও এর আশপাশের নদীগুলো দখল ও দূষণ মুক্ত রাখতে মহানগরের অভ্যন্তরে নতুন কোন শিল্প-কারখানা গড়ে ওঠতে দেওয়া হবে না। শিল্প-কারখানার কারণেই নদীগুলো দূষণ ও দখলের শিকার হয়। নদীগুলো দূষণ মুক্ত রাখতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি জানিয়েছেন নৌ পরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান।
শুক্রবার দুপুরে আশুলিয়ার বেড়িবাঁধ এলাকার ল্যান্ডিং স্টেশনে ৮৪৮ কোটি ৫৫ লাখ টাকা প্রকল্প ব্যয় নির্ধারণ করে নদী দখলমুক্ত রাখতে সীমানা পিলার, নদী রক্ষা বাঁধ, ইকো পার্ক, ওয়াকওয়ে জেটি নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন মন্ত্রী।
এসময় এই প্রকল্পে বুড়িগঙ্গা, তুরাগ, শীতলক্ষ্যার নদীর পার ঘেঁষে ঢাকাসহ চারপাশের এলাকায় ৫২ কিলোমিটার হাঁটার রাস্তা (ওয়াকওয়ে), নদী চিহিৃত করার লক্ষ্যে ১০ হাজার ৮২০ টি সীমানা পিলার, তিনটি ইকো পার্ক, ৪৪ হাজার ৭৮৩ মিটার নদী রক্ষাবাঁধ নির্মাণ করার কথা ঘোষণা দেন মন্ত্রী।
চার বছর মেয়াদী এই প্রকল্পে দেশীয় ২৫টি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান প্রকল্পে কাজ করবেন। এই প্রকল্পে ঢাকা নদী বন্দরের রামচন্দ্রপুর-বসিলা, রায়েরবাজার খাল-কামরাঙ্গীরচর, হাসনাবাদ-কাওটাইল, সদরঘাট-বাবুবাজার ব্রীজ, ফতুল্লা-ধর্মগঞ্জ, টঙ্গী নদী বন্দরের বাতুলিয়া উজানপুর, পাগার মৌজা-হারবাইদ, আশুলিয়া-কামারপাড়া (ঢাকা-গাজীপুর প্রান্ত), নারায়ণগঞ্জ নদী বন্দরের ডিইপিটিসি, সাইলো-কুমুদিনী, সুলতানা কামাল-কাঁচপুর সেতু মোট ৫২ কিলোমিটার হাঁটার রাস্তা (ওয়াকওয়ে) নির্মাণ করা হবে।
এ সময় বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) এর চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ঢাকা- ১৮ আসনের সংসদ সদস্য এ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন। এসময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম খানসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা।
এসএইচ/
আরও পড়ুন