রাজধানীতে নির্ধারিত স্থানে গাড়ি পার্কিংয়ে চালকদের অনীহায় অসহনীয় যানজট
প্রকাশিত : ০৯:৩৩, ৭ মে ২০১৬ | আপডেট: ০৯:৩৩, ৭ মে ২০১৬
রাজধানীতে নির্ধারিত স্থানে পার্কিংয়ে গাড়ি চালকদের অনীহার খেসারত দিতে হয় পুরো নগরবাসীকে। রাস্তার ওপরে যানবাহন দাঁড় করিয়ে রাখা যেনো রীতি হয়ে দাঁড়িয়েছে। পুলিশ মামলা করলেও, মানসিকতা বদলায় না চালকদের। তাই অসহনীয় যানজট নিত্যসঙ্গী হয়ে থাকে ঢাকাবাসীর।
চার শ বছর আগের ঢাকার এই সময়ের চিত্র কেনো এমন হলো, সে জবাব হয়তো নানাভাবে দেয়া যাবে। কিন্তু, কোন এক পয়েন্টে সবাই একমত হবেন যে, ৩ শ ৬০ বর্গ কিলোমিটারজুড়ে দুই সিটি কর্পোরেশনের বাসিন্দা যখন দেড় কোটিরও বেশি, তখন যানজট অসহনীয় হওয়াটা অবান্তর নয়। মাত্রাতিরিক্ত জনসংখ্যার অনুপাতে বাড়েনি চলাচলের রাস্তা। [কার্ড-১]
উন্নত দেশের রাজধানীর চেয়ে ঢাকার সড়কগুলো নেহায়েত কম প্রশস্ত না হলেও, হকারদের দখলবাজি আর যত্রতত্র গাড়ি পার্কিংয়ে, সাচ্ছ্যন্দে চলাচলের উপযোগি থাকে না। যারা এভাবে গাড়ি রাখছেন তাদের অজুহাতও কম নয়।
গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা একেবারেই যে নেই, তা কিন্তু নয়। ব্যাংক পাড়া খ্যাত মতিঝিলে সিটি কর্পোরেশনের ব্যবস্থাপনায় সিটি সেন্টারে পুরো ১০তলা গাড়ি পার্কিং সুবিধা উন্মুক্ত সবার জন্য নাম মাত্র খরচে। তার পরও কর্মদিবসে পার্কিং লট পড়ে থাকে এমন ফাঁকা।
একই ব্যবস্থা আছে মতিঝিলের সাধারণ বিমা টাওয়ারে। [কার্ড-৩]। গুলশানে কর্মাশিয়াল পার্কিং সেন্টার বানিয়েছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ। অথচ খরচ কম হলেও নিরাপদে গাড়ি রাখার এই সুবিধা থাকা পার্কিং সেন্টারগুলো জনপ্রিয়তা পায়নি।
পুলিশ বলছে, নির্ধারিত স্থানে পার্কিংয়ে চালকদের সদিচ্ছা নেই। আর জরিমানার পরিমান কম থাকায়, ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেও মিলছে না তেমন সুফল।
অবৈধ পার্কিং ঠেকাতে প্রয়োজনে আরও কঠোর অবস্থানে যাওয়ার কথাও বলেছেন তিনি।
আরও পড়ুন