ঢাকা, সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪

রাজধানীতে বেড়েছে চোরের উপদ্রব, আতঙ্কে দোকানিরা (ভিডিও)

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৪:০৮, ২৪ জুলাই ২০২০ | আপডেট: ১৪:০৯, ২৪ জুলাই ২০২০

রাজধানীজুড়ে বেড়েছে চোরের উপদ্রব। চোর সিন্ডিকেটের টার্গেট ছোট ছোট দোকান। লাগাতার চুরি হওয়ায় আতঙ্কিত দোকানিরা। 

শনিরআখড়া কুতুবখালীর ছোট্ট দোকানি আব্দুল আজিজের মোবাইল সারাইখানায় চুরির দৃশ্য এটি।

তালা কাটা থেকে চুরি শেষ হওয়া পর্যন্ত সময় লেগেছে মাত্র এক মিনিট ১৪ সেকেন্ড। নগদ টাকা আর গুরুত্বপূর্ণ সবকিছু নিয়ে কৌশলী চোরের তাৎক্ষনিক পলায়ন। 

গেল ক’মাসে শুধু শনিরআখড়াতেই চুরি হয়েছে ১৮টি দোকানে। এমনকি রডের দোকানেও চুরি হয়েছে সতের দিন আগে।

রাজধানীজুড়ে যে সব ক্ষুদ্র দোকানি রয়েছে তাঁদেরকেই টার্গেট করেছে চোর সিন্ডিকেট। এরইমধ্যে দুই সিন্ডিকেটের দু’জন ধরাও পড়েছে। তবু বন্ধ হচ্ছে না চুরি।

স্থানীয় অনেক ভুক্তভোগী জানান, এই সব ব্যবসায়ীদের পুঁজি কম থাকায় একবার দোকানের মালামাল চুরি হয়ে গেলে দোকানদার নিঃস্ব হয়ে যান, কিছুদিন আগে এখানে পিকআপ থামিয়ে তালা ভেঙ্গে চুরি করা হয়, এছাড়াও আরো অনেক দোকানে চুরি হয়েছে দোকান নিয়ে দুঃশ্চিন্তায় আছেন, তারা চায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হোক, নিরাপত্তাহীনতায় ও ভুগছেন তারা।

সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক এ কে এম শহীদুল হক বলেন, লকডাউনের কারণেই এমন অবস্থা। তবে প্রশাসনেরও ভূমিকা দরকার।

তিনি বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে অনেকেই বেকার হয়ে গেছেন, কর্মহীন হয়ে গেছেন, তাদের আয়ের কোন পথ নেই, যদি কোন ব্যক্তির কর্মসংস্থান না থাকে, সে যদি বেকার হয়ে যায়, তার রুটি রুজীর ব্যবস্থা না থাকে, তখন তার নৈতিক স্খলন হতে পারে এবং সে অপরাধের সাথে জড়িত হয়।

এ কে এম শহীদুল হক বলেন, স্থানীয়রা পাহারাদার নিয়োগ করতে পারে, সেক্ষেত্রে পাহারাদারের বেতনের ব্যবস্থা তাদেরকেই করতে হবে, যদি সেই সঙ্গতিও না থাকে, সেক্ষেত্রে স্থানীয়রা নিজেদের মধ্যে একটা রুটিন করে নিবে, পাহারার ব্যবস্থা করতে পারে এবং স্থানীয় পুলিশ প্রাশসনকেও যথাযথ দায়িত্ব পালন করতে হবে।

এসইউএ/এমবি


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি