রাজধানীতে মাদকের বিরুদ্ধে ‘ক্র্যাশ প্রোগ্রাম’
প্রকাশিত : ২৩:৫৭, ২৪ জানুয়ারি ২০১৮ | আপডেট: ০৯:০৪, ২৫ জানুয়ারি ২০১৮
রাজধানীতে মাদক নিয়ন্ত্রণে ‘ক্র্যাশ প্রোগ্রাম’ চালানোর ঘোষণা দিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র সাঈদ খোকন। বুধবার নগর ভবনের ১২তম সভায় এ সিদ্ধান্তের কথা জানান তিনি। এতে সভাপতি ছিলেন ডিএসসিসি মেয়র।
মেয়র জানান, আগামী ৩ ফেব্রুয়ারি থেকে দুই সপ্তাহ মাদকের বিরুদ্ধে ক্র্যাশ প্রোগ্রাম করবে ডিএসসিসি। এ কর্মসূচির অংশ হিসেবে প্রতিটি ওয়ার্ডের চিহ্নিত মাদক স্পটসহ ব্যবসায়ী ও সেবনকারীদের তালিকা করা হবে। এরপর এক সপ্তাহের মধ্যে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ও কাউন্সিলরকে সে তালিকা দেওয়ার অনুরোধ জানান মেয়র সাঈদ খোকন।
মাদকবিরোধী ক্র্যাশ প্রোগ্রামে সব ধরনের সহায়তা দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া।
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘দেশে এখন জাতীয় দুটি সমস্যা। একটি হলো জঙ্গি, অন্যটি মাদক। সীমান্ত দিয়ে দেশে আসছে মাদক। সেই মাদক রাজধানীতে আসছে অনেক ধাপ পেরিয়ে। ঢাকায় মাদক আসার আগে তা রোধ করার ব্যাপারেই বেশি সচেতন হতে হবে।’
ডিএমপি কমিশনারের ভাষ্য, ‘মাদকের ভয়াবহতার বিষয়ে সরকারি, বেসরকারি ও এনজিওগুলোকে প্রচার-প্রচারণা চালাতে হবে, যেন ব্যাপকভাবে জনসচেতনতা বৃদ্ধি পায়। একইসঙ্গে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে। তাহলে মাদক থেকে আমাদের মুক্তি মিলতে পারে।’
অনুষ্ঠানের শুরুতে মেয়র সাঈদ খোকন মাদক নিয়ন্ত্রণ ও রাজধানীতে যানজট নিরসনের বিষয়ে আলোচনা সভায় গুরুত্বরোপ করেন। এসব বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের কাজ করার আহ্বান জানান।
মাদকের ছোবল থেকে রক্ষা পাওয়ার বিষয়ে সুপারিশ রেখেছেন লালবাগ জোনের ডিসি। তিনি বলেন, ‘মাদক নিরাময় কেন্দ্রের নেতৃত্বে সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলদের সঙ্গে নিয়ে আইনজীবী ও বিচারপতিদের সমন্বয়ে কমিটি গঠনের মাধ্যমে ক্র্যাশ প্রোগ্রাম চালানো উচিত।’
সভায় আরও ছিলেন ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা খান মোহাম্মদ বেলালসহ কাউন্সিলররা।
কেআই/টিকে
আরও পড়ুন