রাজধানীতে ১০ হাজারের বেশি পুলিশ মোতায়েন
প্রকাশিত : ০৯:২১, ৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৮
জিয়া অরফানেজ দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রায়কে ঘিরে সারাদেশে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। তবে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে ঢাকাকে। রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ সব মোড়ে বসানো হয়েছে চেকপোস্ট। কয়েক শিফটে ভাগ হয়ে দায়িত্ব পালন করছে পুলিশ। প্রত্যেক শিফটে ১০ হাজারের বেশি পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ডিএমপিতে কর্মরত ৩৪ হাজার পুলিশ সদস্যের প্রায় সবাইকে নিরাপত্তা ব্যবস্থায় সংযুক্ত করা হয়েছে।
রাজধানীর প্রায় প্রতিটি গাড়িতেই তল্লাশি হচ্ছে। সাদা পোশাকে গোয়েন্দারা নজরদারি করছেন। বিশেষ করে, বকসীবাজারের কোর্ট এলাকায় নজরদারি চলছে বেশি করে।
রাজধানীতে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য পুলিশের পাশাপাশি রয়েছে র্যাব ও বিজিবি। র্যাবের ঢাকায় কর্মরত প্রায় তিন হাজার সদস্য মোতায়েন রয়েছে। এ ছাড়াও বিজিবির ২০ প্লাটুন সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মাধ্যমে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, সাধারণ দিনে ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকায় ৪৯টি থানা এলাকায় একরাতে চেকপোস্ট বসানো হয় সর্বোচ্চ একশোটি। কিন্তু খালেদা জিয়ার রায়ের ঠিক আগের রাতে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে কয়েকগুণ বেশি।
ডিএমপি জনসংযোগ শাখার উপ-কমিশনার মাসুদুর রহমান বলেন, ‘কেউ বিশৃঙ্খলা করার চেষ্টা করলে আইন অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
ডিএমপির একজন কর্মকর্তা জানান, ডিএমপির ৪৯টি থানায় নিয়মিতভাবে প্রায় ৫ হাজারেরও বেশি পুলিশ সদস্য দায়িত্ব পালন করেন। এর বাইরে ট্রাফিক বিভাগে আরও অন্তত ৩ হাজার পুলিশ সদস্য কর্মরত থাকেন। এ ছাড়া ডিএমপির পাবলিক অর্ডার ম্যানেজমেন্ট– পিওএম এবং রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সের ৫ হাজার পুলিশ সদস্যকে নিরাপত্তার জন্য যোগ করা হয়েছে। দুই শিফটে ভাগ করে দায়িত্ব পালন করবেন তারা। রাতে যারা ডিউটি করছেন তারা সকালে ব্যারাকে ফিরে যাওয়ার আগেই ভোর থেকে নতুন করে ডিউটিতে এসেছেন পুলিশ সদস্যরা।
ডিএমপি সূত্র জানায়, সাধারণ পুলিশ সদস্যের পাশাপাশি ডিএমপির বিশেষায়িত ইউনিট সোয়াটসহ গোয়েন্দা পুলিশ সদস্যরাও মাঠে আছেন। কোথাও কোনও নাশকতার খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ডিএমপির ঊর্ধ্বতন একজন কর্মকর্তা বলেন, রায় পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পর্যাপ্ত পরিমাণ ফোর্স প্রস্তুত রয়েছে। যে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা শক্ত হাতে দমন করার নির্দেশনা দেওয়া রয়েছে। পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা কন্ট্রোল রুম এবং নিজ নিজ কার্যালয়ে থেকে প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা দেবেন বলে জানিয়েছে সূত্র। ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, কেউ যাতে কোনও নাশকতা করতে না পারে, এজন্য ভিন্ন ভিন্ন কৌশল নেওয়া হয়েছে।
একে/
আরও পড়ুন