রাজধানীর বেশিরভাগ ভবনই রাজউকের নকশা মেনে হয়নি
প্রকাশিত : ১৪:৩৭, ৬ এপ্রিল ২০১৯
রাজধানীর বেশিরভাগ ভবনই রাজউকের নকশা মেনে হয়নি। ভবনগুলোতে নেই যথাযথ অগ্নি নিরাপত্তা। বনানীর এফ আর টাওয়ারের ভয়াবহ অগ্নিকা- চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়েছে অনিয়মের চিত্র। তবে এসব দেখার দায়িত্বে থাকা রাজউকের ভূমিকা নিয়ে আছে নানা প্রশ্ন। অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ আছে রাজউক কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধেও।
ড্যাপের আওতায় থাকা এলাকাগুলোতে আছে ২২ লাখ স্থাপনার মধ্যে ৭ তলা থেকে শুরু করে ২৪-২৫ তলা পর্যন্ত ভবন আছে আরো ৮৮ হাজার। ১০ তলা বা এর বেশী উচ্চতাসম্পন্ন বহুতল ভবন রয়েছে ২ হাজার ৯শর বেশি। রাজউকের বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতি অভিযোগ ভুরি ভুরি। এসব কারণেই বেশিরভাগ ভবনই অনুমোদিত নকশা মেনে হয়নি।
বনানীর পুড়ে যাওয়া ফারুক-রুপায়ন টাওয়ারের অনুমোদন ১৮ তলার, করা হয়েছে ২৩ তলা। শুধু এফ আর টাওয়ারই নয়, রাজধানীর বেশিরভাগ ভবনের অবস্থা একই রকম।
২০১৭ সালে ফায়ার সার্ভিসের জরিপে ১২৭৫টি শপিংমলের মধ্যে মাত্র ৪৭টির অবস্থা সন্তোষজনক। ১০৩৫টি স্কুল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে মাত্র ১৭টির অবস্থা সন্তোষজনক। দ্বিতীয় ধাপের জরিপে প্রায় চার হাজার প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সন্তোষজন অবস্থায় আছে মাত্র ৮৫টি।
এফআর টাওয়ারের বিপরীতপাশে ৩৫ ও ৩৭ নম্বর প্লটের ভবনটির নকশা জাল।
আর এসব অনৈতিক কাজের সাথে জড়িত রাজউকের কর্মকর্তারা। উত্তরা অফিসের কর্মকর্তা আশরাফ। প্রাঁয় পাচ বছর ধরে একই চেয়ারে আছে। নকশার জন্য যারা গেছেন তারাই পড়েছেন বিপাকে।
তবে, অতি চালাক এক কর্মকর্তা ক্যামেরা দেখেই অসুস্থ হয়ে পড়লেন।
অর্গ্নিনির্বাপনের ব্যবস্থা নেই খোদ রাজউক অফিসেও। উত্তরার পুরো অফিসেই পাওয়া গেলো ১টি মাত্র ফায়ার ডিস্টিংগুয়িশ তবে সেটির মেয়াদও শেষ হয়েছে সাত বছর আগে।
রাজধানীর মাত্র ৩ থেকে ৪ শতাংশ ভবনের অগ্নি নির্বাপনের সক্ষমতা রয়ছে বলে জানান ফায়ার সার্ভিসের এ কর্মকর্তা।
এত বছরেও রাজউক কোন তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করতে পারেনি রাজউক।
বিভিন্ন অনিময়সহ নানা অংসগতির বিষয়ে জানতে কয়েকদিন ঘুরেও রাজউক চেয়ারম্যান আব্দুর রহমানের সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি।
তবে কথা বলেছেন দায়িত্বপ্রাপ্তমন্ত্রী। জানিয়েছেন, সব কিছু বিবেচনা করে দ্রুতই কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
নগরবাসীও চায় দ্রত কার্যকর পদক্ষেপ।
বিস্তারিত দেখুন ভিডিওতে :
এসএ/