ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪

রাজনীতি থেকে দূরে রাখতেই রায়ে তড়িঘড়ি : ফখরুল

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৮:১৫, ২৭ জানুয়ারি ২০১৮

বিএন‌পির মহাস‌চিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ব‌লে‌ছেন, খালেদা জিয়াকে রাজনীতি থেকে দূরে সরিয়ে রাখতেই সরকার তড়িঘড়ি রায় দেওয়ার চিন্তা করছে। এ মামলার রায় আগে থেকেই নির্ধারিত হয়ে আছে। কারণ মন্ত্রী এমপিরা যে ভাষায় কথা বলছে তাতে এটা দিবালোকের মতো পরিস্কার হয়ে গেছে। তাই প্রহসনের এ বিচারের কোনো প্রয়োজন ছিল না। 

স্বেচ্ছাসেবক দল ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখার আয়োজনে আজ শনিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাব অডিটরিয়ামে এক সমাবেশে মির্জা ফখরুল ইসলাম এসব কথা বলেন। স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদির ভূঁইয়া জুয়েল ও সাংগঠনিক সম্পাদক ইয়াছিন আলীসহ সব বন্দির মুক্তির দাবিতে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।  

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার বিচারকাজ সম্পন্ন হয়েছে। আদালত আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি রায়ের দিন ধার্য্  করেছে। গত বৃহস্পতিবার খালেদা জিয়ার উপস্থিতিতে রাজধানীর বকশীবাজারে স্থাপিত বিশেষ জজ আদালতের জজ ড. আখতারুজ্জামান এই দিন দেন। 

এ মামলায়  খালেদা জিয়া ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান ছাড়া অন্য আসামিরা হলেন—মাগুরার সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) কাজী সালিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান।

রায়ের দিন ঘোষণার পর থেকেই আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতারা এ নিয়ে পাল্টাপাল্টি হুঁশিয়ারি দিয়ে যাচ্ছেন, যার ফলে ধীরে ধীরে উত্তপ্ত হয়ে উঠছে রাজনৈতিক অঙ্গন।

রায়ের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার আইনজীবীদের সময় না দিয়ে, কথা বলতে না দিয়ে, তাড়াহুড়ো করে কার্যক্রম শেষ করা হয়েছে। এই মামলায় খালেদা জিয়ার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। কোনো ডকুমেন্টে তাঁর স্বাক্ষর নেই। মিথ্যা মামলা দিয়ে তিন তিনবারের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে যে আচরণ করা হচ্ছে পৃথিবীর ইতিহাসে এমন নজির নেই।

তিনি বলেন, ‘তড়িঘড়ি রায়ের চিন্তা চলছে, তারা চায় বিএনপিকে রাজনীতি থেকে দূরে সরিয়ে রাখতে। খালেদা জিয়াকে রাজনীতি থেকে সরাতে। কিন্তু খালেদা জিয়া উড়ে এসে জুড়ে বসেননি। তিনি বারবার নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী। চাইলেই তাঁকে দূরে রাখা যাবে না।’ 

 এসি/ এআর


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি