রাজবাড়ীতে শাটল ট্রেনের বগি লাইনচ্যুত
প্রকাশিত : ১১:২০, ১৫ জুলাই ২০২৪
রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ঘাট থেকে পোড়াদহগামী শাটল ট্রেনের একটি বগি লাইনচ্যুত হয়েছে। তবে এতে কেউ হতাহত হয়নি।
সোমবার (১৫ জুলাই) সকাল ৭টা ৩০ মিনিটে ট্রেনটি দৌলতদিয়া ঘাট ছেড়ে আসে। গোয়ালন্দ ফিড মিলের পেছনের এলাকায় এসে এটি লাইনচ্যুত হয়।
স্থানীয়রা জানান, ফিড মিলের পেছনের এলাকায় সকালে শাটল ট্রেনটির বগি বিকট শব্দে লাইনচ্যুত হয়। আশপাশের লোকজন দ্রুত এসে দেখতে পান রেললাইন থেকে ট্রেনটির একটি বগির একটি চাকা নিচে পড়ে গেছে। তবে এতে কোনও যাত্রী বা আশপাশে থাকা বাড়িঘর ও মানুষের ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। তবে তারা আতঙ্কিত হয়েছেন।
তারা বলেন, মাঝে মধ্যেই এ এলাকায় ট্রেনের এমন দুর্ঘটনা ঘটে। আমরা এ রুটের ট্রেনের লাইনটি নতুন ও নিরাপদ চাই।
রাজবাড়ী রেলওয়ের উপসহকারী প্রকৌশলী (লোকো অ্যান্ড ক্যারেজ) হুমায়ুন কবীর বলেন, শাটল ট্রেনটি রাজবাড়ী স্টেশন থেকে সকাল ৬টা ১৫ মিনিটে দৌলতদিয়া ঘাটের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। এরপর দৌলতদিয়া ঘাট থেকে সকাল সাড়ে ৭টায় ট্রেনটি পোড়াদহের উদ্দেশ্যে ছুটে। ৭ টা ৪০ মিনিটে গোয়ালন্দ ফিড মিলের পেছনের এলাকায় এসে ট্রেনটির একটি চাকা লাইনচ্যুত হয়।
তিনি বলেন, এ রুটে অন্য কোন ট্রেন না থাকায় কোন শিডিউল বিপর্যয় নেই। বগি উদ্ধার করার জন্য ইতোমধ্যে রাজবাড়ী থেকে টিম পাঠানো হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে, এক ঘণ্টার মধ্যে বগিটি উদ্ধার করে ট্রেনটি গন্তব্যে পৌঁছানোর ব্যবস্থা করা হবে।
জানা গেছে, দৌলতদিয়া ঘাট থেকে রাজবাড়ী হয়ে কুষ্টিয়ার পোড়াদহ পর্যন্ত এই ট্রেনটিই বর্তমানে যাত্রী সেবা দিয়ে আসছে। গোয়ালন্দ বাজার থেকে দৌলতদিয়া ঘাট পর্যন্ত পাঁচ কিলোমিটার ঝুঁকিপূর্ণ রেললাইনে চলাচল করছে ট্রেন। উঁচুনিচু ও আঁকাবাঁকা রেললাইনে নেই পাথর। খুলে গেছে সংযোগ পয়েন্টের নাট-বল্টু। বহু বছরের পুরানো কাঠের স্লিপারগুলো পচে যাওয়ায় প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। ট্রেনের গতি কমিয়ে চলাচলের নির্দেশনা দিয়েই দায় সারছে রেল কর্তৃপক্ষ।
২০২৩ সালের ২৮ আগস্ট এ রেল রুটে নকশীকাঁথা এক্সপ্রেস ট্রেনের দুটি বগি লাইনচ্যুত হয়ে রুটটিতে ১১ ঘণ্টা বন্ধ থাকে রেল যোগাযোগ। একই বছরের ১৪ অক্টোবর নকশীকাঁথা এক্সপ্রেস ট্রেনটির পেছনের মালবাহী একটি বগি লাইনচ্যুত হয়।
এমএম//
আরও পড়ুন