ঢাকা, মঙ্গলবার   ২৬ নভেম্বর ২০২৪

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ডাস্টবিনের ব্যবহার হয় না

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৯:১৬, ১৭ অক্টোবর ২০১৯

সৌন্দর্যের জন্য রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) বেশ স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট রয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকেও সৌন্দর্য বর্ধনে প্রতিনিয়ত নেয়া হচ্ছে নৃত্য-নতুন পরিকল্পনা। বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে ময়লা আর্বজনা রাখার জন্য তৈরি করা হয়েছে ৪৫টি ডাস্টবিন। তবে ডাস্টবিনে ব্যবহার না করে বাহিরে ময়লা ফেলছে শিক্ষার্থীরাসহ দোকানীরা। ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ দূষিত হচ্ছে।

জানা যায়, ৮ লাখেরও বেশি টাকা ব্যয়ে বসানো হয়েছে ছোট বড় প্রায় ৪৫টি ডাস্টবিন। প্রতিটি ডাস্টবিন ৩ হাজার ৫০০ টাকা খরচ করে মোট ৩৫টি স্থানে বসানো হয়েছে স্টিলের এ ডাস্টবিন। 

সরেজমিনে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘টুকিটাকি চত্বর’র কনফেকশনারি দোকানগুলোর পাশে ময়লা আবর্জনার স্তূপ রয়েছে। এর মাত্র ১০ হাত দূরেই বসানো রয়েছে ডাস্টবিন। শুধু এ চত্বরেই নয় কুদরত এ খুদা ভবন, সত্যন্দ্রনাথ দও একাডেমিক ভবনের আশপাশে ছোট বড় মিলিয়ে ৫টি ডাস্টবিন থাকলেও ভবনের গা ঘেঁষেই রাখা হয়েছে ময়লার স্তূপগুলো।

একইভাবে ইসমাইল হোসেন সিরাজি ভবনের সামনে ডাস্টবিন থাকলেও অন্য স্থানে ফেলা হচ্ছে ময়লা আবর্জনা। জগদীশ চন্দ্র বসু ভবনের পূর্ব পাশে রয়েছে বড় একটি বিন। তবে সেখানে ময়লা না ফেলে রাস্তার পাশে ময়লা ফেলতে দেখা গেছে।

এ বিষয়ে শিক্ষার্থীরা বলেন, প্রায় সব জায়গাতেই ডাস্টবিন করে দেওয়ার পরে ও ডাস্টবিনে ময়লা ফেলা হচ্ছে না, পুরো ক্যাম্পাসই ময়লায় সয়লাব। ক্যাম্পাসের দোকানদাররা এর জন্য বেশি দায়ী। আমাদেরও দায় রয়েছে।

জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টুয়ার্ড শাখার সহকারী রেজিস্ট্রার মোসলেম উদ্দিন বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ যদি নোটিশ জারি করে তাহলে এগুলো সমস্যা সমাধান করা যাবে। এখানে স্টুয়ার্ড শাখার কোন দায়িত্ব নেই আমরা শুধু ময়লা পরিষ্কার করে থাকি কিন্তু প্রশাসন নির্দেশনা দিলে এবং সবাই সচেতন হলে এটা রোধ করা সম্ভব।’

এমএস/এসি
 


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি