রাজশাহী সিএনজি স্ট্যান্ডে বাস শ্রমিকদের হামলা, ৭০ গাড়ি ভাঙচুর
প্রকাশিত : ১৫:৪১, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৪
রাজশাহীতে সিএনজি চালিত অটোরিকশার স্ট্যান্ডে হামলা চালিয়েছেন বাস শ্রমিকেরা। তারা অর্ধশত সিএনজি চালিত অটোরিকশার সামনের কাঁচ ভেঙে দিয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। তবে সিএনজি চালকদের দাবি, প্রায় ৭০/৮০টি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে।
এ সময় যাত্রী-চালকসহ ৩০ জন আহত হয়েছেন। যাদের মধ্যে গুরুত্ব অবস্থায় দুইজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার সকালে রাজশাহী নগরের রেলগেট এলাকার সিএনজি স্ট্যান্ডে এই হামলা চালান বাস শ্রমিকেরা। এর আগে সোমবার সকালে জেলার তানোর উপজেলা সদরে সিএনজি অটোরিকশার চালকেরা বাসের পাঁচজন চালক, হেলপার ও কন্ডাক্টরকে পিটিয়ে আহত করেন।
সিএনসি চালিত অটোরিকশা চালক আব্দুস সামাদ বলেন, ‘আমি বাগমারার তাহেরপুরের সিরিয়াল পেয়েছিলাম। দুইজন যাত্রী গাড়িতে বসেছিল। আর তিনজন যাত্রীর জন্য অপেক্ষা করছিলাম। হঠাৎ করে কিছু লোক লাঠি নিয়ে এসে গাড়ি ভাংচুর শুরু করে। তারা আমার গাড়ির গ্লাস ভেঙ্গে দেয়। এতে আমার ছয় হাজার টাকা ক্ষতি হয়েছে।
রাজশাহী সিএনজি মালিক সমিতির সহ-সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম জানান, ‘মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বাস শ্রমিকেরা হাতুড়ি ও লাঠিশোঁটা নিয়ে রেলগেটে সিএনজি অটোরিকশা স্ট্যান্ডে চলে আসেন। তারা একের পর এক সিএনজি অটোরিকশা ভাঙচুর করতে শুরু করেন। এ সময় বাধা দিতে গেলে সিএনজি চালক ও যাত্রীদেরও পিটিয়ে আহত করে। কিছু বুঝে উঠার আগেই তারা ভাংচুর করে চলে যায়।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের প্রায় ৭০/৮০টি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। পিটিয়ে আহত করা হয়েছে কমপক্ষে ৩০ জনকে। এদের বেশিরভাগই চালক, কয়েকজন যাত্রী আছেন। আহতরা বিভিন্ন স্থানে চিকিৎসা নিয়েছেন। তবে দুইজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।’
রাজশাহী জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি রফিকুল ইসলাম তোতা জানান, সোমবার রাজশাহীর তানোর রুটে চলাচল করা বাসগুলোতে সিএনসি চালকরা হামলা করে শ্রমিকদের মারধর করে। এতে ৫ জন শ্রমিক গুরুতর আহত হয়। শ্রমিকদের উপর হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করার পাশাপাশি অবৈধ সিএনজি চলাচল বন্ধ করা না হলে বাস চালু করা হবে না।
রাজশাহী জেলা বাস মালিক সমিতির সভাপতি নজরুল ইসলাম হেলাল বলেন, আওয়ামী লীগের দোসররা সিএনজি চালকদের উস্কানি দিয়ে বাস শ্রমিকদের উপর হামলা করছে। তাদের উস্কানিত কিছু শ্রমিক সিএনসির উপর হামলা করেছে। তারাই আবার বাসও বন্ধ করে দিয়েছে। প্রশাসনের সাথে কথা বলে বাস চলাচল স্বাভাবিক করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
নগরের বোয়ালিয়া থানার ওসি মেহেদী মাসুদ বলেন, আমরা এসে ভাঙচুর করা ৩২টি গাড়ি পেয়েছি। অন্য গাড়িগুলো চলে গেছে। ভাঙচুর করা গাড়ির সংখ্যা ৭০টি হতে পারে। সব গাড়ির কাঁচ ভেঙে দেওয়া হয়েছে। এরপর কিছু গাড়ি উল্টে ফেলা হয়।
এএইচ
আরও পড়ুন