রাজশাহীতে গাছ থেকে আম নামানোর সময় নির্ধারণ
প্রকাশিত : ১৭:৫১, ১২ মে ২০১৯
রাজশাহীতে আম নামানোর সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। রোববার জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে কৃষি বিভাগের কর্মকর্তা, ফল গবেষক, আম চাষি ও আম ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে গাছ থেকে আম নামানোর সময় নির্ধারণ করা হয়। পরে সেটি ঘোষণা করেন রাজশাহী জেলা প্রশাসক এসএম আব্দুল কাদের।
তিনি বলেন, প্রশাসনের বেঁধে দেওয়া সময় অনুযায়ী আগামী ১৫ মে পরে নামানো যাবে গুটি আম। আর ২০ মে আগে গাছ থেকে নামানো যাবে না গোপালভোগ। লক্ষণভোগ ও লখনা নামানো যাবে ২৫ মে এবং হিমসাগর ও খিরসাপাত ২৮ মে’র পর। এছাড়া ৬ জনের পর নামানো যাবে ল্যাংড়া ও বোম্বায়। আর ফজলি, সুরমা ফজলি ও আম রুপালি ১৬ জুন এবং আশ্বিনা আম ১ জুলাইয়ের আগে চাষিরা গাছ থেকে নামানো যাবে না।
জেলা প্রশাসক বলেন, ‘আমে রাসায়নিক ক্যামিক্যাল ব্যবহার প্রতিরোধে আম নামানোর সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে। তবে কোন গাছে আম যদি আগে পেকে যায় তবে প্রশাসনকে জানিয়ে তা নামানোর ব্যবস্থা করা যাবে।’
আব্দুল কাদের বলেন,‘রাজশাহীর আমে কখনও ফরমালিন মেশানো হয় না। কৃত্রিমভাবেও আম পাকানোও হয় না। কিন্তু যখন বাজারে অনেক আগে কিংবা পরে আম পাওয়া যায়। তখন অনেকেই মনে করেন যে আমে কেমিক্যাল দেওয়া আছে। ক্রেতাদের এই ভীতি দূর করতেই আম পাড়ার একটা নির্দিষ্ট সময় ঠিক করে নেওয়া হলো। এতে কেউ মনে করবেন না যে, এই আম এখন গাছে থাকার কথা নয়। এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় সবার আগে চাষিদের স্বার্থ রক্ষা হচ্ছে কি না তা বিবেচনা করে দেখা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘বেঁধে দেওয়া সময় অনুযায়ী আম নামানো হচ্ছে কি না তা মনিটরিং করা হবে। এজন্য প্রতিটি উপজেলা চেয়ারম্যান, নির্বাহী অফিসার ও কৃষি কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে মনিটরিং কমিটি গঠন করা হচ্ছে। নির্দিষ্ট সময়ের আগে আম পাড়া হলে এই কমিটি ব্যবস্থা নেবে। আর চাষি ও ব্যবসায়ীদের সব সুযোগ-সুবিধা এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রশাসন কাজ করবে।’
সভায় পুলিশ সুপার মো. শহিদুল্লাহ, ফল গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আব্দুল আলিম, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক ছামসুল হক ছাড়াও নয় উপজেলা চেয়ারম্যান ও নির্বাহী কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
কেআই/
আরও পড়ুন