ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ১৩ মার্চ ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

রাজশাহীতে বিএনপির দুই গ্রুপে সংঘর্ষে আহত গনিউলের মৃত্যু

রাজশাহী প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ১০:০৪, ১৩ মার্চ ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

রাজশাহীর তানোরে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় আহত গনিউল ইসলাম (৫০) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। 

বুধবার বিকালে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

গনিউল ইসলাম তানোর উপজেলার পাঁচন্দর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি আব্দুল মোমিনুল হক মমিনের ভাই। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পাঁচন্দর ইউনিয়নে বিএনপির ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথিকে বরণ করা নিয়ে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে বিএনপি কর্মী গনিউল গুরুতর আহত হয়েছিলেন।

হাসপাতালের মুখপাত্র ও জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. শংকর কে বিশ্বাস জানান, গনিউলের শরীরে গুরুতর আঘাতের চিহ্ন ছিল এবং তার অবস্থা সংকটাপন্ন ছিল। চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার বিকাল ৩টার দিকে তিনি আইসিইউতে মারা যান।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, মঙ্গলবার বিকালে তানোর উপজেলার পাঁচন্দর ইউনিয়ন বিএনপির আয়োজনে কৃষ্ণপুর মহিলা কলেজ প্রাঙ্গণে বেগম খালেদা জিয়ার আশু রোগ মুক্তি কামনায় দোয়া ও ইফতার মাহফিলের আয়োজন করা হয়। ওই ইফতার অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন রাজশাহী-১ (তানোর-গোদাগাড়ী) আসনের বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক সামরিক সচিব মেজর জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) শরীফ উদ্দিন। 

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পাঁচন্দর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি প্রভাষক মুজিবুর রহমান ও সঞ্চালনা করেন ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল গাফফার। অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন রাজশাহী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও তানোর পৌরসভার সাবেক মেয়র মিজানুর রহমান।

শরীফ উদ্দিনকে বরন করতে কৃষ্ণপুর মোড়ে যান ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মুজিবুর রহমানের সমর্থকেরা। কিন্তু সেখানে যান সাবেক সভাপতি মোমিনুল হক মমিনের সমর্থকেরাও। মমিনের সমর্থকরা শরীফ উদ্দিনকে বরণ করে নিতে চাইলে তাতে বাধা দেয় মুজিবুর রহমানের সমর্থকরা। এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। শরীফ উদ্দিনের উপস্থিতিতে সংঘর্ষে গুরুতর আহত গনিউল ইসলামকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

পাঁচন্দর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মুজিবুর রহমান শরীফ উদ্দিনের লোক হিসেবে পরিচিত। আর মোমিনুল হক মমিন দীর্ঘদিন ধরে রাজনীতিতে নিস্ক্রিয় ছিলেন। গত ৫ আগস্টের পর থেকে আবার সক্রিয় হয়েছেন তিনি।

ঘটনার বিষয়ে জানতে মুজিবুর রহমান ও মোমিনুল হক মমিনের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে তাদের পাওয়া যায়নি। মুঠোফোনের সংযোগ বন্ধ পাওয়া যায়। 

উপজেলা বিএনপির আহবায়ক আখেরুজ্জামান হান্নান বলেন, কেন এবং কীভাবে এ হামলার ঘটনা ঘটল, সেটা জানা নেই। আর রাজশাহী জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য ও তানোর পৌরসভার সাবেক মেয়র মিজানুর রহমান বলেন, একেবারে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা। ভেতরে ভেতরে যে এই ঘটনা ঘটে গেছে, তা বোঝাই যায়নি।

তানোর থানার ওসি আফজাল হোসেন বলেন, ‘ইফতার অনুষ্ঠানে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছিল। গনিউলের মৃত্যুর খবর পেয়েছি। তার পরিবারের সদস্যদের মামলা করার জন্য বলা হয়েছে। মামলা হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

এএইচ


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি