রাজশাহীতে ভোটারের উপস্থিতি বাড়াতে নানা উদ্যোগ (ভিডিও)
প্রকাশিত : ১১:৩২, ১৭ জুন ২০২৩
গাজীপুর, খুলনা ও বরিশাল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি কম থাকলেও রাজশাহীতে বাড়াতে উদ্যোগী নির্বাচন কমিশন। ভোটকেন্দ্রে যেতে ভোটারদের আগ্রহী করতে নিয়েছে নানা পদক্ষেপ। প্রার্থীরাও চান উপস্থিতি বাড়ুক ভোটারের।
২০০৮ সালে রাজশাহী সিটি নির্বাচনে ভোট পড়েছিল ৮১ দশমিক ৬৩ শতাংশ; ২০১৩-তে ৭৬ দশমিক ০৯ শতাংশ এবং সবশেষ ২০১৮’র নির্বাচনে ভোটের হার ছিল ৭৮ দশমিক ৬৬ শতাংশ।
২১ জুনের নির্বাচনেও ভোটের এই হার দেখতে চান প্রার্থীরা। তবে বিএনপির অংশ না নেয়া ও ইসলামী আন্দোলনের বর্জনে দলগুলোর সমর্থকদের ভোট দিতে আসা নিয়ে শঙ্কায় তারা।
কাউন্সিলর প্রার্থীরা জানান, মানুষকে ভোটকেন্দ্রের আসার জন্য উদ্বুদ্ধকরণের চেষ্টা করছি। আমরা চেষ্টা করছি, শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট হয়।
আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির মেয়র প্রার্থীও পর্যাপ্ত ভোটার উপস্থিতি নিশ্চিতের পক্ষে।
জাতীয় পার্টির মেয়র প্রার্থী সাইফুল ইসলাম স্বপন, “খুলনা-বরিশালে বিচ্যুতি ঘটেছে কিন্তু আশা করছি, রাজশাহীতে আমরা শান্তিপ্রিয় মানুষকে যেন অবহেলিত না করি।”
আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, “৭০ শতাংশের উপরে ভোটারের উপস্থিতি আশা করছি “
ব্যালটে ‘না’ ভোট থাকলে ভোটারদের অংশগ্রহণ বেশি নিশ্চিত হতো- মন্তব্য সুশীল সমাজের।
রাজশাহী সুজন জেলা সভাপতি শফিউদ্দিন আহমেদ বলেন, “যদি দেখি কেউই উপযুক্ত নন, কাউকেই ভোট দেব না। সেজন্যই দীর্ঘদিন ধরে সুশীল সমাজ ‘না’ ভোটের দাবি করে আসছেন।”
ভোটার উপস্থিতি নিশ্চিতে সচেতনতামূলক প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছে নির্বাচন কমিশন।
নির্বাচন কমিশনার রাশিদা সুলতানা বলেন, “আমরা ভোটারদের উদ্বুদ্ধ করার জন্য গানের মাধ্যমে প্রচার চালানো হচ্ছে, ভোটারদের সচেতন করা হচ্ছে। আশা করছি, ভোটকেন্দ্রে ভোটারদের উপস্থিতি বেশি হবে।”
রাজশাহী সিটির ৩০টি ওয়ার্ডে মোট ভোটার তিন লাখ ৫১ হাজার ৯৪৫ জন।
এএইচ
আরও পড়ুন