রাজশাহীতে হাসপাতালের ঔষধ ব্যবহার করে অসুস্থ ১৪ শিশু
প্রকাশিত : ১৯:২৬, ১৩ মে ২০১৯
জ্বর, সর্দি, ব্যাথাসহ বিভিন্ন রোগের আক্রান্ত ১৪ শিশু রাজশাহী মেডিকেল হাসপাতালের ঔষধ ব্যবহার করে অসুস্থ হয়ে পড়েছে।
শনিবার চাপাইনবাগঞ্জ থেকে বদিউজ্জামান নামে এক ব্যক্তি তার ৫ বছর বয়সি ছেলেকে হাসপাতালে নিয়ে এলে কর্তব্যরত নার্স একটি ইনজেকশন দেন। তারপর থেকেই ছেলের শরীর ফুলে ওঠে এবং জ্বর বৃদ্ধি পায়।
বদিউজ্জামান জানান, তার ছেলেকে ঐ ইনজেকশন দেয়ার আগে যাদের একই ইনজেকশন দেয়া হয়েছিল, তাদেরও একই অবস্থা।
হাসপাতালের শিশু বিভাগে জ্বর, সর্দি, পেট ব্যাথা, খিচুনিসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত ১৪ শিশুর সবাইকে একই ধরনের ঔষধ দেয়া হয়েছিলো। প্রত্যেকই অসুস্থ হয়ে পড়ে।
রাজশাহী মেডিকেল কলেজের প্রিন্সিপাল ও পিডিয়াট্রিক সার্জারি বিভাগের প্রধান ডা. নওশাদ আলী জানান, যাদের সমস্যা হয়েছিল তাদের সবাইকে একই ধরনের চারটি ঔষধ দেওয়া হয়। এর মধ্যে জ্বর, সর্দি-কাশির জন্য অ্যান্টিবায়োটিক সেফট্রিয়াক্সন ও ফ্লুক্লক্সাসিলিন দেয়া হয়। আলসার ও পাকস্থলীর সমস্যা উপশমের জন্য র্যানিসন আর ব্যথার জন্য দেয়া হয়েছিল বুটাপেন। এই চারটি ঔষধ যাদের দেওয়া হয়েছে সেইসব শিশুদের সবারই একই সমস্যা হওয়ায় বিষয়টি উর্ধ্বন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। এর মধ্যে ওই ইনজেকশনও ছিল।
আরেক কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. আলী বলেন, পরে তাৎক্ষণিকভাবে ঔষধগুলোর ব্যবহার বন্ধ করে দেওয়া হয়। তবে বড়দের ঔষধগুলো দেওয়া হচ্ছে। ঔষধগুলোর সবগুলোই রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ঔষধ কোম্পানি এসেন্সিয়াল ড্রাগস কোম্পানি লিমিটেড কর্তৃক তৈরি।
এই ঔষধগুলো নিয়মিত ব্যবহার করা হলেও, আগে কখনো কোন সমস্যা হয়নি। এমনকি সেগুলোর মেয়াদ ছিল বলে জানান তিনি।
এদিকে, ব্যাপারটি খতিয়ে দেখতে এসেন্সিয়াল ড্রাগস কোম্পানি একটি বোর্ড গঠন করেছে বলে জানিয়েছেন কোম্পানিটির বোর্ড অফ ডিরেক্টরসদের একজন এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ।
তিনি বলেন, কোনটার সাথে কোনটার মিক্স হয়েছে কিনা তা খুঁজে দেখার চেষ্টা চলছে। আগামীকাল মঙ্গলবার ঔষধগুলো পরীক্ষার জন্য ল্যাবে পাঠানো হবে বলে জানান তিনি। পরীক্ষার প্রতিবেদন না পাওয়া পর্যন্ত সেগুলো ব্যবহার না করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। বিবিসি বাংলা
আই//এসি
আরও পড়ুন