রাজশাহীতে ৩ খুনের ঘটনায় ৭১ জনের বিরুদ্ধে মামলা, গ্রেপ্তার ৭
প্রকাশিত : ০৯:১৪, ১১ জুলাই ২০২৩
রাজশাহীর গোদাগাড়ীর মুসরাপাড়া ইয়াজপুর গ্রামে জমির বিরোধে দুই পক্ষের সংঘর্ষে তিনজন নিহত হওয়ার ঘটনায় মামলা হয়েছে। এ মামলায় ৭১ জনকে আসামি করা হয়েছে।
সোমবার রাতে নিহত সোহেল রানা ছোটনের ভাই মো: হৃদয় বাদি হয়ে গোদাগাড়ী থানায় মামলা করেন।
গোদাগাড়ী থানার ওসি কামরুল ইসলাম জানান, মামলায় ২১ জনের নাম উল্লেখসহ আসামি করা হয়েছে ৭১ জনকে। এ মামলায় সাতজনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। এরা হলেন মো: ইউনুস আলী, মো: রজব আলী, মো: হায়দার আলী, মো: আতাউর রহমান, মো: মঞ্জুর রহমান, মো: ওমর ফারুক ও মো: আনারুল ইসলাম।
সোমবার সকালে মুসরাপাড়া ইয়াজপুর গ্রামে জমির বিরোধে দুই পক্ষের সংঘর্ষে তিনজন নিহত হন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও সাতজন। তাদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
নিহতরা হলেন রাজশাহী নগরীর রাজপাড়া থানার ভাটাপাড়া এলাকার জিল্লুর রহমানের ছেলে সোহেল রানা ছোটন (৪৫), গোদাগাড়ীর বড়গাছী কানুপাড়া গ্রামের মৃত আলিমুদ্দিনের ছেলে মেহের আলী (৬৫) ও তার বড় ভাই নাইমুল (৭০)।
আহতরা হলেন ইউনুস আলী (২২), মো. আমু (২২), মো. রায়হান (৩৫), মনিরুল হক (৪৫), মো. সুলায়মান আলী (৫০) ও রজব আলী (৩৫)। তারা হাসপাতালের ৩১নং ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
ওসি কামরুল ইসলাম জানান, সকাল ৯টার দিকে জমিজমা নিয়ে বিরোধের জের ধরে দুইপক্ষের সংঘর্ষ বাধে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হয়। যাদের মধ্যে ১০ জনকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসকরা তিনজনকে মৃত ঘোষণা করেন।
ওসি আরও বলেন, ইয়াজপুর বিলে সোহেল রানা ছোটনের ১৪ বিঘা জমি রয়েছে। মেহের আলী ও নাইমুল দুই ভাই জমিগুলো বরগা চাষ করে। ওই জমিগুলো বেশ কিছুদিন থেকে নিজের দাবি করে আসছে পাকড়ি গ্রামের আশিক আলী চাঁন। সকালে চাঁন তার দল-বল নিয়ে ওই জমি দখল করে চাষ করতে যায়। এ সময় তাদের বাধা দিতে গেলে সংঘর্ষ বাধে।
নিহত মেহের আলী ও নাইমুল আলীর ছোট ভাই আনসুর রহমান বলেন, আশিক আলী চাঁন জমিগুলো নিজের দাবি করে আসছিল। তিনি বিএমডিএতে চাকরি করেন। সে জমি দখল করার জন্য ভাড়াটে হিসেবে জালাল উদ্দিন ও তার দলবলকে নিয়ে যায়। জালাল উদ্দিন নিজে নেতৃত্ব দেয় এই হামলায়।
তারা তিনজনকে ঘটনাস্থলে পিটিয়ে হত্যা করে। যারা উদ্ধার করতে যায় তাদেরও তারা পিটিয়ে জখম করে।
এএইচ
আরও পড়ুন