রাতে দেরিতে খাওয়া বিপদ!
প্রকাশিত : ২১:১৮, ২৬ জুন ২০১৭ | আপডেট: ১৫:৩৮, ২৭ জুন ২০১৭
হজমে গণ্ডগোল, অজীর্ণ, বুকজ্বালা পোড়া— এমন নিত্যনৈমত্তিক সমস্যা শহুরে মানুষগুলোর। ঘুম থেকে উঠেই কর্মক্ষেত্রে ছুট। খাওয়ার রুটিনটাই বদলে গিয়েছে। কিন্তু শরীর তো চলবে তার নিয়মে। তাই নিয়ম বদলালেই শরীরের দফারফা। আর শরীর ঠিক রাখতে ঠিক সময়ে পরিমাণমতো খাওয়া আর রাতে পর্যাপ্ত ঘুম অত্যন্ত জরুরি।
সম্প্রতি প্রকাশিত যুক্তরাষ্ট্রের এক গবেষণার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বেশি রাতে খেলে খাবার হজম হয় না। ফলে হজমে গণ্ডগোল, অম্বল, বুক জ্বালা, অস্বস্তি ইত্যাদি লেগে থাকে। বদহজমে বারবার ঘুমও ভেঙে যেতে পারে। ধীরে ধীরে ইনসমনিয়ার মতো রোগ বাসা বাঁধতে পারে শরীরে। বেড়ে যায় স্ট্রোক, হার্ট অ্যাটাক, ক্রনিক অম্বল, গ্যাসের সমস্যা। বাড়বে রক্তচাপ। স্ট্রেস হরমোনের পরিমাণ বাড়বে। রয়েছে ওজন বাড়ার সম্ভাবনা।
এছাড়া বেশি রাতে খাওয়ার ফলে পরেরদিন সকালে খিদে পাবে না। ফলে ব্রেকফাস্ট বাদ। একে বলে মর্নিং অ্যানোরেক্সিয়া। অথচ সারাদিনের খাওয়ার মধ্যে ব্রেকফাস্টই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। রাতে জাঙ্ক খাবার, মিষ্টি বা নোনতা খাবার বা উচ্চ ক্যালরিযুক্ত খাবার খাওয়ার প্রবণতা অনেকটা বেড়ে যায়। ধীরে ধীরে শরীরে ফ্যাট জমা হবে। স্থুলতার সমস্যা দেখা দিতে পারে।
বেশি রাতে খেয়েই ঘুম। ব্যস। ব্লাড প্রেশার বাড়বে। তাই রাত ১০টার মধ্যে খেয়ে নিতেই হবে। খেয়েই ঘুমিয়ে পড়া চলবে না। অন্তত ২ ঘণ্টা পর ঘুমোতে হবে।
ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই গবেষণা বলছে, বেশি রাতে ডিনার করলে স্মৃতিশক্তির ওপর প্রভাব পড়ে। ভবিষ্যতে অ্যালঝাইমার্সের মতো রোগ হতে পারে।
কীভাবে কমানো যাবে বেশি রাতে খাওয়ার প্রবণতা?
গবেষকদের দাবি, ভরপেট খাবার না খেয়ে একটু স্যালাড, অল্প একটু গরম দুধ খাওয়া যেতে পারে। সহজপাচ্য শাক-সবজি খাওয়াই ভাল। রেড মিট, ভাজাভুজি, সোডা, ক্যান্ডি খাওয়া চলবেই না। রাতের খাবার আর শুতে যাওয়ার মধ্যে অন্তত ২ ঘণ্টার ব্যবধান রাখতেই হবে। ব্রেকফাস্ট, লাঞ্চ, ডিনারের মধ্যে সঠিক ব্যালান্স করতে হবে। একেবারে অনেকটা না খেয়ে সারাদিনে অল্প পরিমাণে খেতে হবে।
সূত্র: জিনিউজ