রানা প্লাজা ট্রাজেডি, দুঃসহ স্মৃতি এখনও তাড়া করছে আহতদের
প্রকাশিত : ১০:০১, ২৪ এপ্রিল ২০২৫

রানা প্লাজা ধসের প্রায় এক যুগ পার হলেও এখনো সেই দুঃসহ স্মৃতি তাড়া করে আহতদের। অনিশ্চতার ঘেরাটোপে এখনো কাটে তাদের সময়। জীবনযুদ্ধে পোড় খাওয়া মানুষগুলোকে পুনর্বাসনের দাবি শ্রমিক সংগঠনগুলোর।
শরীরে ছয়টি অপারেশনের ক্ষত নিয়ে বেড়াচ্ছেন রানা প্লাজা দুর্ঘটনায় আহত গার্মেন্টস শ্রমিক ইয়া নূর। দুঃসহ সেই স্মৃতি এখনো তাড়া করে তাকে। পায়ের ক্ষত নিয়ে হাঁটতে না পারলেও ২৪ তারিখ আসলেই ক্র্যাচের ওপর ভর করে চলে আসেন ধ্বসে পড়া রানা প্লাজার সেই স্থানে।
ইয়ানূরের মতো প্রায় একই স্মৃতিচারণ করেন আরেক আহত শ্রমিক শিলা। সেই দিনের কথা বলতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন।
২০১৩ সালে ২৪ এপ্রিল সাভার বাসষ্ট্যান্ড এলাকায় সম্পূর্ণ ধ্বসে পড়ে রানা প্লাজা। দুর্ঘটনায় সেদিন প্রাণ হারান ১ হাজার ১৭৫ জন। গুরুতর আহত হন প্রায় ২ হাজার। অনেকের আবার মেলেনি খোঁজ।
ঘটনার পর হয় মামলা, গ্রেফতার হন ভবনের মালিক সোহেল রানা; দেয়া হয় ফাঁসির রায়। তবে অজানা কারণে আজও সেই রায় কার্যকর হয়নি।
শুধু শ্রমিক সংগঠন নয়, দায়ীদের শাস্তি আর ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনের তাগিদ বিশিষ্টজনদের।
নকশা বহির্ভূত ভবন নির্মাণ ও নিন্মমানের নির্র্মাণ সামগ্রী ব্যবহারসহ ৯ কারণে রানা প্লাজা ধসে পড়ে বলে তখন তদন্ত প্রতিবেদনে জানান গার্মেন্ট মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ।
দীর্ঘ বারো বছরে চারটি মামলার মধ্যে সম্পদের তথ্য গোপনের মামলা নিষ্পত্তি হলেও বাকি তিনটি মামলা নিষ্পত্তির মুখ দেখছে না।
এএইচ
আরও পড়ুন