রানা প্লাজা ট্র্যাজেডি : হারিয়ে যাচ্ছে শ্রমিকদের অর্জন (ভিডিও)
প্রকাশিত : ১২:১৫, ২৪ এপ্রিল ২০২১
রানা প্লাজা ট্র্যাজেডির পর শ্রমিকরা যা অর্জন করেছিলো তা একটু একটু করে হারিয়ে যাচ্ছে। এমন মন্তব্য করছেন শ্রমিক নেতারা। তারা বলছেন, অ্যাকর্ড অ্যালায়েন্সের পর গঠিত আরএসসি’র আইনী ভিত্তি দুর্বল হওয়ায় শ্রম-পরিবেশের এই নিম্নগতি। তবে বিজিএমই বলেছে নিরাপত্তা ও কর্মপরিবেশের অবনতি হওয়ার আর কোন সুযোগ নেই।
২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল সকালের কর্মব্যস্ততা শুরু হতে না হতেই একটি ভবন ধ্বসে পড়লো সাভারে। এখানকার হতাহতের সংখ্যা, শ্রমিকদের উপর এই ঘটনার বিরূপ প্রভাব বিবেচনায় এটি রানা প্লাজা ট্র্যাজেডি বলে পরিচিতি পায় দেশে-বিদেশে।
এ ঘটনায় নিহত হন ১ হাজার ১৩৮ জন, আহত দু’হাজারেরও বেশি। বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় শিল্প দুর্ঘটনা এটি। এরপর নড়েচরে বসে গোটা বিশ্ব। নিরাপদ কর্মপরিবেশ ও শ্রমঅধিকার নিশ্চিত করতে শিল্প মালিক, শ্রমিক সংগঠন ও সরকারের পাশাপাশি একযোগে কাজ শুরু করে বিদেশী ক্রেতা প্রতিষ্ঠানগুলোও। গঠিত হয় অ্যাকর্ড ও অ্যালায়েন্স।
শ্রমিক সংগঠনগুলো বলছে, রানা প্লাজায় নিহত শ্রমিকরা নিজেদের জীবনের বিনিময়ে অনেক কিছু দিয়ে গিয়েছিলেন বাংলাদেশের শ্রমশক্তির জন্যে। সেখান থেকে একটু একটু করে পিছিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ।
জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি আমিরুল হক আমিন বলেন, প্রথম ট্রেড ইউনিয়নের সাথে বায়ারদের চুক্তি হয়েছিল। যেটা লিগ্যালি ওয়েন্ডিং এবং এই লিগ্যালি ওয়েন্ডিংয়ের ফলশ্রুতিতে গঠিত হলো অ্যাকর্ড। তাহলে আমাদের উচিত ছিল আগে আরএসসি ও বায়ারদের চুক্তি। আর এখন যেটি আরএসসি হয়েছে এটা হলো একটি প্রাইভেট ইনিয়েশেটিভ।
শিল্প মালিকরা বলছেন, রানা প্লাজার পর নিরাপত্তা ও কর্মপরিবেশে বৈপ্লবিক অগ্রগতি হয়েছে। আরএসসিতে দুর্বলতা থাকলে তা নিয়ে নতুন করে ভাববে বিজিএমইএর বর্তমান নেতৃত্ব।
বিজিএমইএ সিনিয়র সহ-সভাপতি এস এম মান্নান কচি বলেন, ফারুক হাসানের নেতৃত্বে বিজিএমইতে আমরা যারা পাস করেছি যদি কোন দুর্বলতা থেকে থাকে, যদি শ্রমিকদের স্বার্থ পরিপন্থি কিছু থেকে থাকে অবশ্যই সে বিষয়গুলো নিয়ে সরকারের সাথে বসবো। শ্রমিক ভাইবোনদের বিষয়টি অবশ্যই আমরা বিবেচনা করবো।
কর্মপরিবেশ ও নিরাপত্তার ক্ষেত্রে বিজিএমইএ কোন ছাড় দেবে না বলেও জানান এই নেতা।
এস এম মান্নান কচি আরও বলেন, এমন একটি ভয়াবহ দিন বাংলাদেশের বুকে আর যেন না আসে, এই শিক্ষাই আমরা পেয়েছি।
দেখুন ভিডিও :
এএইচ/এসএ/
আরও পড়ুন