রান্না করতে গিয়ে ত্বক পুড়ে গেলে কী করবেন?
প্রকাশিত : ০৯:১৩, ৭ মার্চ ২০১৯ | আপডেট: ১৩:৫৬, ৯ মার্চ ২০১৯
বাড়িতে মায়ের বা নিজের স্ত্রীর বা কারুর রান্না করতে গিয়ে যদি কোথাও পুড়ে যায়, তবে তাৎক্ষনিক আরামের জন্যে এবং চিকিৎসার জন্যে কি করবেন? হাতের কাছে থাকা জিনিস দিয়েই প্রাথমিক চিকিৎসা শুরু করতে পারেন। কারণ ঘরোয়া টোটকাই সব থেকে প্রথমে হাতের কাছে পাওয়া যায়। চিকিৎসকের মতে, প্রাথমিক সাবধানতায় যদি কিছু ভুল হয় তা পোড়া অংশকে আরও ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। আজকের প্রতিবেদনে জেনে নিন সে রকমই কিছু ঘরোয়া টোটকার সুলুক সন্ধান যা কাজে লাগতে পারে আপনারও।
জায়গাটা প্রথমে ঠাণ্ডা করুন এবং পর্যবেক্ষণ করুন
পোড়া অংশের পাশে বা উপরে কোনও জামাকাপড় থাকলে তা সাবধানতার সঙ্গে সরিয়ে ফেলুন। অহেতুক ঘষা যেন পোড়া অংশে না লাগে। এবার ঠাণ্ডা পানিতে ১৫-২০ মিনিট পর্যন্ত পোড়া জায়গায় লাগান বা অই পোড়া অংশ ঠাণ্ডা পানিতে ডুবিয়ে রাখুন। ঠাণ্ডা পানি ব্যবহার করা ভাল কিন্তু কোনভাবেই বরফ পোড়া জায়গায় লাগাবেন না। ঠাণ্ডা পানি লাগানোর ফলে আপনার পোড়া জায়গার ব্যথা কিছুটা হলেও কমবে।
নতুন করে যেন আঘাত না লাগে
আঘাতপ্রাপ্ত জায়গায় যাতে নোংরা না লাগে সে দিকে সতর্ক থাকুন। চেষ্টা করুন পোড়া জায়গা পরিস্কার করতে। ঢেকে রাখার জন্যে গজ কাপড়ের ব্যান্ডেজ ব্যবহার করতে পারেন। চাইলে অতিরিক্ত সাবধানতার জন্যে কোনও সুতির কাপড় ব্যান্ডেজের নিচে রাখতে পারেন। তুলা ব্যবহার না করাই ভাল কারন তুলার আঁশ ক্ষতস্থানে লেগে জটিলতার সৃষ্টি হতে পারে। ঢেকে রাখার আর একটা কারণ হল ক্ষতস্থান উন্মুক্ত রাখলে সে ক্ষেত্রে ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশন হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়।
ওষুধ হিসাবে কি কি ব্যবহার করতে পারেন
অ্যালোভেরা বা ঘৃতকুমারী গাছের সঙ্গে আমরা সবাই পরিচিত। অল্প পরিমাণে এই গাছের জেল হাতে নিয়ে ক্ষতস্থানে লাগালে অনেকটাই আরাম পাওয়া যায়। মধু আমাদের সবার বাড়িতেই কম বেশি থাকে। পোড়া জায়গার প্রাথমিক চিকিৎসার জন্যে এর থেকে ভাল ওষুধ হয় না বলে অনেকেই মনে করেন। মধু ক্ষতস্থানকে ইনফেকশনের হাত থেকেও বাঁচায়। আদার রসও পোড়া জায়গার আরাম পেতে অনেকটাই সাহায্য করে। অল্প ছেঁকা খেলে পুদিনা পাতার রস বা বাড়ির দাঁত মাজার পেস্ট অল্প লাগিয়ে দেখুন, আরাম পাবেন। তবে ভিনিগার কখনই ব্যবহার করবেন না। অ্যান্টিবায়োটিক ক্রিম বাড়িতে থাকলে ক্ষতস্থানে ব্যবহার করতে পারেন।
ফোসকা পড়লে সাবধান
পুড়ে গেলে ফোসকা পড়বে না এটা সাধারণত হয় না। কিন্তু একে সতর্ক হয়ে এর খেয়াল রাখা উচিত। অনেকেই মনে করেন ফোসকা ফাটিয়ে দিলে হয়তো ক্ষত তাড়াতাড়ি সারবে। কিন্তু বাস্তবে মোটেই তা হয় না। এতে আরও ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশন হওয়ার সম্ভাবনাও বেড়ে যায়।
চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন
পোড়া জায়গা যত কম বা বেশিই হোক না কেন, প্রাথমিক সাবধানতা বা চিকিৎসার পরে অবশ্যই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন। সেটা ব্যান্ডেজ বাঁধাই হোক বা পরিস্কার করা, চেষ্টা করুন কাছাকাছি হসপিটাল বা ডাক্তারের কাছে যাওয়ার। কারণ প্রাথমিক চিকিৎসার পর বাকি কি করা উচিত বা উচিত নয়, তা জানতে অভিজ্ঞ ব্যক্তির কাছে যাওয়াই ভাল।
সূত্র: বোল্ডস্কাই
একে//