রাবি উপাচার্যের সঙ্গে ব্রিটিশ হাইকমিশনারের মতবিনিময়
প্রকাশিত : ১৭:১৫, ১৫ অক্টোবর ২০২৩
বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তারের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত ও মতবিনিময় করেছেন। এসময় তাঁরা রাবির বিদ্যায়তনিক বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ করে উচ্চশিক্ষা ও গবেষণা ক্ষেত্রে ব্রিটিশ প্রতিষ্ঠানসমূহের সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা করেন।
রোববার বিকেলে এই মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হয়।
উপাচার্য যুক্তরাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয় ও উচ্চতর গবেষণা প্রতিষ্ঠানসমূহের সঙ্গে রাবির লিংক স্থাপন এবং শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও গবেষক বিনিময়, যৌথ গবেষণা, প্রশিক্ষণ, সম্মেলন ও ওয়ার্কশপ অনুষ্ঠান, রাবি শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের অধিকতর হারে বৃত্তি ও আর্থিক সহায়তা প্রদানের প্রতি রাবি উপাচার্য জোর দেন। উপাচার্য কমনওয়েলথ স্টাফ ফেলোশীপ পুনর্বহাল ও রাবির বরেন্দ্র গবেষণা জাদুঘরের উন্নয়নের জন্যও ব্রিটিশ সহযোগিতার আহ্বান জানান।
এছাড়া উপাচার্য শিক্ষার্থী ও গবেষকদের ব্রিটিশ ভিসা প্রাপ্তি সহজতর করার জন্য আহ্বান জানান। মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্তি লাভ করে স্বদেশের পথে যুক্তরাজ্যে স্বল্পকাল অবস্থান করেন। তা স্মরণ করে উপাচার্য যুক্তরাজ্যের সঙ্গে বাংলাদেশের যে বিশেষ সম্পর্ক রয়েছে তা বিবেচনা করে ব্রিটিশ হাইকশিনারের রাবি সফর দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক জোরদারেও ভূমিকা রাখবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও গবেষকদের জন্য গবেষণা প্রস্তাব প্রণয়ন এবং বৃত্তি ও ফেলোশিপের জন্য আবেদন করার পদ্ধতি ও প্রক্রিয়া সম্পর্কে কর্মশালা আয়োজনের জন্য ব্রিটিশ কাউন্সিলের প্রতি আহ্বান জানালে উপস্থিত ব্রিটিশ কাউন্সিলের পরিচালক সে বিষয়ে সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
এসময় ব্রিটিশ হাইকমিশনার শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও গবেষকদের ব্রিটিশ উচ্চশিক্ষা ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানসমূহে শিক্ষা ও গবেষণার জন্য বৃত্তি ও অন্যান্য আর্থিক সুবিধা বাড়ানোর জন্য কাজ চলছে বলে উল্লেখ করেন। তিনি সরেজমিনে সুবিধাভোগীদের সাথে কথা বলে ও বিদ্যমান পরিস্থিতি সম্যকভাবে বুঝে সিদ্ধান্ত গ্রহণ পছন্দ করেন বলে জানান।
ভিসা প্রসঙ্গে হাইকমিশনার জানান যে, আবেদনকারীদের ভিসাপ্রাপ্তি সহজতর করার জন্য পয়েন্টভিত্তিক ভিসা ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। এতে করে দক্ষ ও যোগ্য বাংলাদেশিরা ব্রিটেনে কাজ করার সুযোগ পাবে।
হাইকমিশনার সেভেনিং স্কলারশীপে নারীদের অংশগ্রহণ বেড়েছে বলে জানান। এছাড়াও স্থানীয় রপ্তানি বাণিজ্য সহজতর করার জন্য প্রেফারেন্সিয়াল জেনারেল ট্রেড চালু হয়েছে যার মাধ্যমে স্থানীয় রপ্তানিযোগ্য পণ্য ব্রিটিশ বাজারে প্রবেশ সহজতর হয়েছে বলে উল্লেখ করেন।
ব্রিটিশ কাউন্সিল বরেন্দ্র রিসার্চ মিউজিয়ামে তাদের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে বলে প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন। ভবিষ্যতে রাবির সঙ্গে শিক্ষা ও গবেষণা ক্ষেত্র প্রসারিত হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
উপাচার্য ব্রিটিশ হাইকমিশনারকে রাবির পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা স্মারক উপহার দেন। এছাড়া রাবির পরিচিতি পুস্তকও প্রদান করেন।
এসময় হাইকমিশনারের সাথে ঢাকাস্থ ব্রিটিশ কাউন্সিলের পরিচালক টম মিস্কিওসিয়াসহ সংশ্লিষ্ট অন্যরা এবং রাবি উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মো. সুলতান-উল-ইসলাম, উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক মো. হুমায়ুন কবীর, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. অবায়দুর রহমান প্রামানিক, রেজিস্ট্রার অধ্যাপক মো. আবদুস সালাম, ইনস্টিটিউট অব ইংলিশ এন্ড আদার ল্যাঙ্গুয়েজেজের পরিচালক অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আল মামুন, ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক মো. জাহাঙ্গীর আলম সাউদ, জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক অধ্যাপক প্রদীপ কুমার পাণ্ডে, লোক প্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক প্রণব কুমার পান্ডে প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এএইচ
আরও পড়ুন