রাবিতে বিশ্ব মেডিটেশন দিবস পালিত
প্রকাশিত : ১৪:২০, ২১ মে ২০২৪
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) চতুর্থবারের মতো পালিত হয়েছে বিশ্ব মেডিটেশন দিবস-২০২৪।
দিবসটি উপলক্ষে আজ মঙ্গলবার (২১ মে) ভোরে ‘ভাল মানুষ ভাল দেশ স্বর্গভূমি বাংলাদেশ’ প্রতিপাদ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবাস বাংলাদেশ মাঠে আলোচনা সভা ও সম্মিলিত মেডিটেশনের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানের শুরুতে কোয়ান্টাম মেথডের প্রবর্তক শহীদ আল বোখারী মহাজাতক অডিও বাণীতে বলেন, ‘ভ্রান্ত জীবনাচারে সৃষ্ট বিভিন্ন রোগ থেকে মুক্তি এবং টোটাল ফিটনেসের জন্যে প্রয়োজন মেডিটেশন ও সুস্থ জীবনাচার।’
স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রফেসর ড. এম মোস্তফা কামাল, আইবিএস রাবি এবং সমাপনী বক্তব্য রাখেন ড. মোহাম্মদ শহিদুল আলম, প্রফেসর ও সভাপতি, উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগ, রাবি।
প্রোগ্রামে উপস্থিত বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানিত শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শিক্ষার্থীরা কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের আয়োজনকে সাধুবাদ জানান এবং কোয়ান্টাম চেতনার উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি কামনা করেন।
উল্লেখ্য, ২০২১ সাল থেকে দিবস পালনের মধ্য দিয়ে ধ্যান ও সুস্থ জীবনাচারের বাণী এখন পৌঁছে গেছে সমাজের সর্বস্তরের সচেতন মহলে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ২০২২ সালে যোগ মেডিটেশনকে স্বাস্থ্যসেবার পরিপূরক হিসেবে গ্রহণ করেছে। ২০২৩ সালে শিক্ষা ও শিক্ষক প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের অংশে পরিণত হয়েছে ধ্যান।
প্রসঙ্গত, আত্মশক্তির বিকাশ, রোগ নিরাময়, সাফল্য কিংবা প্রশান্তি লাভে মেডিটেশনের গুরুত্ব এখন প্রমাণিত সত্য। প্রশান্তি আর সুখানুভূতি নিয়ে বিশ্বজুড়ে বর্তমানে প্রায় ৫০ কোটিরও বেশি মানুষ নিয়মিত ধ্যান বা মেডিটেশন করেন। নিয়মিত অনুশীলন মানুষের ভেতরের ইতিবাচক সত্ত্বাকে জাগিয়ে তোলে।
নিয়মিত চর্চায় কমে যায় মনের রাগ ক্ষোভ দুঃখ হতাশা টেনশন স্ট্রেস কিংবা মানসিক চাপ। নেতিবাচকতা থেকে দৃষ্টিভঙ্গি বদলে যায় ইতিবাচকতায়। সমমর্মী হয়ে ওঠে মন। ফলে পারিবারিক পেশাগত সামাজিক সম্পর্কগুলো আরো সুন্দর হয়ে ওঠে।
মেডিটেশন দিবসের প্রত্যাশা, নিয়মিত চর্চায় সমমর্মিতা নিয়ে দেশের মানুষ রূপান্তরিত হবে সুস্থ সবল কর্মদ্যোমী সুশৃঙ্খল মানবিক এক মহাসমাজে।
এএইচ
আরও পড়ুন