ঢাকা, সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪

রাবিতে ভোক্তা অধিকার বিষয়ে কর্মশালা অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত : ১১:২১, ১৮ মার্চ ২০১৯

বিশ্ব ভোক্তা অধিকার দিবস উপলক্ষে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ‘খাদ্যে ভেজাল প্রতিরোধ ও ভোক্তা অধিকার’ বিষয়ে প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

গতকাল রোববার বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিনস্ কমপ্লেক্সের কনফারেন্স রুমে এই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রায় ২০০ শিক্ষার্থীকে প্রশিক্ষণ ও সার্টিফিকেট দেওয়া হয়।

ভোক্তা অধিকার সংস্থা ‘কনসাস কনজুমার্স সোসাইটি’ (সিসিএস) এর সহযোগিতায় সংস্থার যুব শাখা ‘কনজুমার ইয়ুথ বাংলাদেশ’ (সিওয়াইবি)-এর রাবি শাখা এ প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করে। খাদ্যে ভেজাল প্রতিরোধ ও ভোক্তা অধিকার বাস্তাবায়নে সিওযাইবি দেশের প্রায় ২০টি বিশ্ববিদ্যালয়ে কাজ করছে।

রোববার কর্মশালার আগে ক্যাম্পাসে এক বর্ণাঢ্য র‌্যালির আয়োজন করে সিওয়াইবি। র‌্যালিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিনস্ কমপ্লেক্স থেকে শুরু হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে পুনরায় ডিনস্ কমপ্লেক্সের সামনে এসে শেষ হয়।

‘খাদ্যে ভেজাল প্রতিরোধ ও ভোক্তা অধিকার আইন-২০০৯’ বিষয়ে কর্মশালায় প্রশিক্ষক ছিলেন সিসিএস এর সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার ও সিওয়াইবির কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ন-সম্পাদক সোহরাওয়ার্দী শুভ, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের রাজশাহী বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক হাসান আল মারুফ ও অপূর্ব অধিকারী।

কর্মশালায় সংগঠনটির রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিটের সভাপতি কাজী জহিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক এম. লুৎফর রহমান, ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. লায়লা আরজুমান বানু, অধ্যাপক ড. আবুল হাসান চৌধুরী, ড.মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, ড.মোহাম্মদ রওশন জাহিদ প্রমুখ।

এ সময় বক্তারা বলেন, পৃথিবীর সব মানুষ সে যেই হোক একেকজন ভোক্তা। কিন্তু ভোক্তারা একতাবদ্ধ না, একতাবদ্ধ হচ্ছে ব্যবসায়ীরা। আমরা এই কর্মশালার মাধ্যমে জনগণকে সচেতন করার চেষ্টা করছি। আমরা দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করেছি। কিন্তু ব্যবসায়ীদের সুবিধার জন্য বেশ কিছু ধারা নিয়ে আমরা আপত্তি জানাচ্ছি। ভেজাল কিন্তু আজও মুক্ত হয়নি। আমরা নিরাপদ ও মানসম্মত পণ্য চাই। শুধু নিরাপদ না আমরা মানসম্মত খাদ্য চাই। বেশিরভাগ খাদ্যই ভেজাল।

প্রশিক্ষকরা জানান, এতো ব্যাপকভাবে পোল্ট্রি মুরগিকে এন্টিবায়োটিক খাওয়াচ্ছে যে আমরা পরোক্ষভাবে সে এন্টিবায়োটিক খেতে বাধ্য হচ্ছি। সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সরকার বেতন দিলেও আমাদের তাদের কাছ থেকে আবারো সে সেবা কিনে নিতে হচ্ছে। ভোক্তা অধিকার আন্দোলন একটি যুদ্ধ আমাদের সবাইকে শরীক হতে হবে।

উল্লেখ্য, কনসাস কনজুমার্স সোসাইটি (সিসিএস) বাংলাদেশ সরকারের সোসাইটি অ্যাক্টে নিবন্ধিত একটি বেসরকারি সংস্থা। ২০১৫ সাল থেকে সংস্থাটি খাদ্যে ভেজাল প্রতিরোধ ও ভোক্তা অধিকার বাস্তবায়নে সচেতনতা সৃষ্টি ও প্রশিক্ষণ দিয়ে যাচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের মাঝে সচেতনতা সৃষ্টির জন্য সিসিএস ‘কনজুমার ইয়ুথ বাংলাদেশ’ (সিওয়াইবি) নামে যুব শাখা পরিচালনা করে। প্রায় ২০টি বিশ্ববিদ্যালয়ে সংগঠনটির শাখা রয়েছে। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় ১০ হাজার শিক্ষার্থী এই সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন।

একে//


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি