রামগতিতে বালিকা বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার নির্মাণ করলো ‘স্বপ্ন নিয়ে’
প্রকাশিত : ১৬:১০, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৯
এ বছর আর অনেক দূর পথ হেঁটে কিংবা কলাগাছের তৈরী শহীদ মিনারে নয়, ইট-সিমেন্টে নির্মিত শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাবে লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার রামগতি আছিয়া বালিকা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় ও রামগতি বালিকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। ১৯৬৮ সালে প্রতিষ্ঠিত এই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের দীর্ঘ দিনের স্বপ্নপূরণে এগিয়ে এসেছে স্বেচ্ছাসেবী প্লাটফর্ম ‘স্বপ্ন নিয়ে’।
দুই স্কুলের শিক্ষক ও এগারো শতাধিক শিক্ষার্থীর মধ্যে ২১ ফেব্রুয়ারি উদযাপনে ব্যাপক আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে।
রামগতি আছিয়া বালিকা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবদুর রাজ্জাক বলেন, উপকূলীয় এলাকার প্রাচীন এই বিদ্যালয়টি এই এলাকার ঐতিহ্যবাহী একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। দীর্ঘ পঞ্চাশ বছর ধরে এই দুই স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা অনেক দূর পথ হেঁটে অন্য শহীদ মিনারে কিংবা কলাগাছের তৈরী শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে একুশে ফেব্রুয়ারিতে শ্রদ্ধা জানিয়ে আসছিল। ‘স্বপ্ন নিয়ে’ প্লাটফর্ম আমাদের স্কুলে শহীদ মিনার তৈরী করে দেওয়ায় আমারা সবাই খুব খুশি। এ বছর একুশে ফেব্রুয়ারি হবে আমাদের জন্য নতুনভাবে শ্রদ্ধা নিবেদনের বছর। তিনি আরও বলেন, শহীদ মিনারটি নির্মাণ করায় বালিকা বিদ্যালয়ের এবং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ক্ষুদে শিক্ষার্থীরা জাতীয় দিবসগুলো স্বরণ করতে স্কুল পেরিয়ে বাহিরে আর যেতে হবে না। এই শহীদ মিনার পেয়ে আনন্দের কথা জানিয়েছে শিক্ষার্থীরাও।
‘স্বপ্ন নিয়ে’র প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি আশরাফুল আলম হান্নান বলেন, শহীদ মিনারটি নির্মাণে খরচ যাই হোক এটার ব্যাপকতা অনেক। শিক্ষার্থীদের দেশীয় সংস্কৃতি, ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস জানাতে এবং সামাজিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে ‘স্বপ্ন নিয়ে’। আমাদের এ ধরণের উদ্যোগ দেখে ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে বড় হয়ে সমাজের জন্য কিছু করার প্রবণতা তৈরি হবে। সমাজে সবকিছু সরকার করে দিবে এ ভাবনাটি ঠিক নয়, সবাই যার যার অবস্থান থেকে এগিয়ে এলেই অন্যরকম একটি সমাজ তথা দেশ গড়ে উঠতে পারে। আমরা আশা করি আপনারাও আমাদের সঙ্গে সমাজ তথা দেশ পরিবর্তনে স্বপ্নের সাথী হয়ে আমাদের সব কাজে সহযোগিতা করবেন। শহীদ মিনারটি নির্মাণে যারা বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করেছেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
একে//
আরও পড়ুন