রামুতে বন্যার পানিতে শিশুসহ নিখোঁজ ৪
প্রকাশিত : ১৯:৫৮, ২২ আগস্ট ২০২৪
কক্সবাজারের রামুতে বন্যার পানির স্রোতে শিশুসহ চারজন তলিয়ে গেছে। অনেক খোঁজাখুঁজির পরও তাদের সন্ধান মিলেনি।
নিখোঁজরা হলেন ফতেখাঁরকুলের লম্বরীপাড়া এলাকার নুরুল কবিরের ছেলে রাজ উদ্দিন জুনাঈদ (১০), গর্জনিয়া ইউনিয়নের জুমছড়ি গ্রামের আমজাদ হোসেন (২২) ও রবিউল আলম (২০) এবং ঈদগড় ইউনিয়নে সাচিং মারমা (৩০)।
এদিকে দুই দিনের ভারি-বর্ষণে ও পাহাড়ি ঢলে রামুর নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। পুরো উপজেলায় অর্ধশতাধিক গ্রাম পানিবন্দী হয়ে পড়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, বাকঁখালী নদীর পানি বিপদসীমা অতিক্রম করায় রামু সদরসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের মসজিদ, বাড়ি-ঘর, গ্রামীণ সড়ক, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও ফসলি ক্ষেত পানিতে তলিয়ে গেছে।
জানা যায়, উপজেলার ফতেখাঁরকুল, জোয়ারিয়ানালা, কাউয়ারখোপ, গর্জনিয়া, কচ্ছপিয়া, রাজারকুল, দক্ষিণ মিঠাছড়িসহ বিভিন্ন ইউনিয়নে পানিবন্দী হয়ে পড়েছে সহস্রাধিক মানুষ। সেখানে দেখা দিয়েছে খাবার ও বিশুদ্ধ পানির সংকট। ক্ষতিগ্রস্ত বন্যার্তদের কাছে এ পর্যন্ত সরকারিভাবে কোনো সহায়তা কাছে পৌঁছায়নি।
কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের আবু রাজিব জানায়, জাংছড়ি, বাকঁখালী নদী, দোছড়ি ছড়ার পানিতে নিম্নাঞ্চলে বসবাসরত মানুষের ঘরে পানি ডুকে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। রাস্তাঘাট ডুবে যাওয়ায় মানুষের চলাচলে অসুবিধায় পড়েছে।
সাবেক উপজেলা ভাইস-চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ সিকদার বলেন, বন্যায় উপজেলার সাধারণ মানুষ ও দরিদ্র কৃষকদের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বিশেষ করে নিম্নাঞ্চলের মানুষেরা বর্তমানে পানিবন্দী হয়ে পড়েছে।
রামু উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রাশেদুল ইসলাম বলেন, পানিবন্দী অনেকে সাইক্লোন সেন্টারে আশ্রয় নিয়েছেন। প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।
কেআই//
আরও পড়ুন