ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪

রাশিয়া বিশ্বকাপ: ফুটবল ফ্যানরা যা খাচ্ছেন

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১০:১০, ২৯ জুন ২০১৮

বিশ্বকাপ উপলক্ষে রাশিয়ার বিভিন্ন শহরে ছড়িয়ে পড়েছেন নানা দেশ থেকে আসা ফুটবল ভক্তরা। ভাষা সমস্যা তো আছেই। সেই সঙ্গে তাদের চেখে দেখতে হচ্ছে ভিন্ন স্বাদের সব খাবার। রাশিয়ায় গিয়ে আপনি কী খেতে পারেন? বিবিসির রুশ বিভাগ পরিচয় করিয়ে দিচ্ছে কিুছু রুশ খাবারের সঙ্গে। কোনও দিন রাশিয়ায় গেলে এটা আপনারও কাজে লাগতে পারে।

১. কেফির

ফুটবলের গোল দেখার আগে আপনার দিনটা শুরু করুন এই রুশ ঘোল দিয়ে। প্রতি গ্লাস কেফিরে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন আর পুষ্টিকারক। নোনা ভাব একটু বেশি মনে হলে খেতে পারেন রিয়াঝেংকা। সেটাও ঘোলের কাছাকাছি ড্রিংক।

দাম: ৩০ রুবল (৫০ সেন্ট)

কোথায় পাবেন: সুপার মার্কেটের চিলার সেকশনে দুধেরে বোতলের কাছাকাছি।

২. পেলমেনি

পেলমেনি হচ্ছে খাঁটি রুশ পিঠা। অনেকটা পুলি পিঠার মতো। সুপার মার্কেটে এটা ফ্রোজেন কিংবা ফ্রেশ দু`ধরনেই পাওয়া যায়। কিনে ফুটন্ত পানিতে আট মিনিট সেদ্ধ করুন। এ পিঠার ভেতরে থাকে মাংস (চেক করে নিন কিসের মাংস), মাশরুম কিংবা পনির। মাখন, সাওয়ার ক্রিম কিংবা মেওনেইজ দিয়ে পরিবেশন করুন।

দাম: প্রতি কেজি ২০০ রুবল (৩ ডলার)

কোথায় পাবেন: সুপার মার্কেটের চিলার সেকশনে পাবেন ফ্রেশ পেলমেনি। ফ্রোজেন সেকশনেও এটা পাওয়া যায়।

৩. গ্রেচকা

বাংলাদেশে যাকে `বাজরা` নামে ডাকা হয় গ্রেচকা আসলে তাই। ইংরেজি নাম `বাকহুইট`। স্বাস্থ্যগুনের জন্য রুশরা একে `সুপারফুড` নামে ডাকেন। মিষ্টি কিংবা ঝাল দু`ভাবেই এই গ্রেচকা রান্না করা যায়।দুধ আর চিনি দিয়ে সেদ্ধ করে সকালে নাস্তা হিসেবে খেতে পারেন। অথবা নোনা পানিতে সিদ্ধ করে মাখন মিশিয়ে দুপুরের খাবারে সাইড ডিশ হিসেবেও গ্রেচকা পরিবেশন করা যায়।

দাম: প্রতি কেজি ৬০ রুবল (১ ডলার)।

কোথায় পাবেন: সুপার মার্কেটের তৈরি খাবার সেকশনে। অথবা সেখানেআটা ময়দা পাওয়া যায় সেখানে গ্রেচকা পাবেন।

৪. সব্জীর আচার, সোলেনিয়া

এই আচার ছাড়া কোন রুশ খাবার সম্পুর্ণ হয় না। এগুলো কাঁচের জারে পাওয়া যায়। বরফ ঠাণ্ডা ভদকার সঙ্গে নোনা শসা আর কালো বোরোডিনো রুটি খেতে পারেন। মাছ-মাংসের সঙ্গে খেতে পারেন বাঁধাকপির আচার। রুশরা বলেন, হ্যাংওভার কাটাতে এক গ্লাস আচারের নোনা পানির জুড়ি নেই।

দাম: প্রতি কেজি ১০০ রুবল (১.৬০ ডলার)

৫. সুশ্কি, বারানকিআর বুবলিকি

এগুলো হলো রুশ রুটি -- বে‌গ্‌ল এবং প্রেটজেল। সুশ্কি হচ্ছে রিং-এর মতো দেখতে ছোট, শক্ত বিস্কুট। এগুলো প্লেন হতে পারে, মিস্টি এবং নোনা -- দু`ধরনেরই হতে পারে। ভ্যানিলা ফ্লেভার্ড হতে পারে। সুশ্কির ওপরে কালজিরা কিংবা পোস্তদানা দেওয়া থাকতে পারে। বারান্‌কি খেতে সুশ্কিরা তুলনায় নরম। কিন্তু বুবলিকি সবচেয়ে বড় এবং সবচেয়ে নরম।

দাম: ২০০ গ্রাম প্যাকেটের দাম ৩০ রুবল (৫০ সেন্ট)।

কোথায় পাবেন: দোকানের যে অংশে রুটি এবং কেক বিক্রি হয়।

৬. গাযিরোভকা

আপনার খাওয়াদাওয়ার গুরুত্বপূর্ণ অংশ জুড়ে থাকবে এসব রুশ ড্রিংক। এগুলোর বেশির ভাগই তৈরি হয়েছিল সোভিয়েত আমলে। তারা মার্কিন কোকাকোলার সঙ্গে পাল্লা দিতে চাইছিল।

`বাইকাল` দেখতে কোকাকোলার মতই। কিন্তু এটি তৈরি হয়েছে নানা ধরনের লতাপাতা দিয়ে, যা আপনার স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।

তার্খুন দেখতে উজ্জ্বল সবুজ। এটি ট্যারাগন দিয়ে তৈরি।

সিট্রো দেখতে উজ্জ্বল হলুদ -- লেবু এবং ভ্যানিলা দিয়ে তৈরি।

সায়ানির রং সবুজাভ সোনালি। এটিও লেবু আর নানা লতাপাতা থেকে তৈরি।

দাম: বোতল প্রতি ৪০ রুবল (০.৬ ডলার)।

কোথায় পাবেন: চিল্ড ড্রিংক সেকশনে, কিংবা অ্যালকোহলমুক্ত ড্রিংকসের তাকে।

৭. পিচচিয়ে মালাকো

রুশ ভাষায় এর মানে হলো `পাখির দুধ`। এটা খাবারের পর ডেজার্ট হিসেবে খুবই জনপ্রিয়। মার্শমেলোর ওপর চকোলেট দিয়ে তৈরি। ১৯৭০-এর দশকে এই মিষ্টি তৈরি হয়েছিল।

দাম: প্রতি পাঁচশো গ্রাম ৩০০ রুবল।

কোথায় পাবেন: সুপার মার্কেটের সুইট সেকশনে।

  1. গ্ল্যাযিরোভানি সিরক

আরেকটা জনপ্রিয় মিস্টি হচ্ছে গ্ল্যাযিরোভানি সিরক। পনীরের ওপর চকোলেটের আস্তুর। খেতে অনেকটা চিক কেকের মত।

দাম: প্রতি পিস ২০-৪০ রুবল (৩০-৬০ সেন্ট)

কোথায় পাবেন: যেখানে ডেইরি প্রডাক্ট থাকে।

৯. কুলিউভকা ভি সাখারে

টক-মিস্টি এই খাবার ফুটবল ম্যাচের দর্শকদের অপরিহার্য সঙ্গী।

দাম: ৭০ রুবল (১ ডলার), প্রতি ১০০ গ্রাম।

কোথায় পাবেন: সুইট সেকশনে।

১০. প্রিয়ানিকি

আপনি দিন শেষ করবেন এক কাপ চা আর এই রুশ মিস্টি জিঞ্জারব্রেড কেক দিয়ে। মধু দিয়ে তৈরি এই কেক কিনে অনেক ফুটবল ফ্যান স্যুভেনির হিসেবে বাড়িতে নিয়ে যাবেন। কেনার সময় লক্ষ্য করুন সেগুলো টুলা-তে তৈরি কি-না। কারণ সেগুলোই স্বাদে-গন্ধ্যে সেরা।

দাম: প্রতি কেজি ১৮০ রুবল (২.৮০ ডলার)

সূত্র: বিবিসি

একে//


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি