রাসূল (সা.) এর মূল্যবান ৯ উপদেশ
প্রকাশিত : ১৮:২৬, ২২ নভেম্বর ২০১৯ | আপডেট: ১৮:৩২, ২২ নভেম্বর ২০১৯
আল্লাহর প্রেরিত রাসূল হযরত মোহাম্মদ (স.) তাঁর সাহাবাদের বিভিন্ন ধরনের উপদেশ দিতেন। তাঁর উপদেশ, পরামর্শ বা নসিহতের আলোকেই সাহাবারা তাদের জীবনকে রাঙিয়েছেন। তাঁর অমীয় মহা মূল্যেবান বাণীকে ধারণ করে তারা দুনিয়া এবং আখেরাতের পথ তৈরি করে নিয়েছেন। রাসূল (সা.) এর গুরুত্বপূর্ণ ৯টি উপদেশ নিম্নে তুলে ধরা হলো-
একদিন আল্লাহর রাসূলের একজন সাহাবা এসে রাসূলে পাককে (সা.) বললো- হুজুর আমায় কিছু নসিহত করুন।
হুজুর পাক (সা.) বললেন- তোমরা অন্যের ধন দেখে ঈর্ষা করবে না, কারণ অন্যের শ্রী দেখে যারা ঈর্ষান্বিত হয় তাদের চেয়ে দরিদ্র এবং নিকৃষ্ট আর কেউ নেই। এরা আল্লাহ এবং তার রাসূলের দুশমন। তোমরা যখন নামাজ পড়বে তখন মনে করবে এটি আমার জীবনের শেষ নামাজ। আর যখন কথা বলবে তখন ওজন করে কথা বলবে-এমন কথা বলবে না যা বললে তুমি অনুতপ্ত হবে। কারণ কথা হচ্ছে ধনুকের তীরের মতো-একবার মুখ থেকে ফসকে গেলে তার উপর তোমার আর কোন নিয়ন্ত্রণ থাকে না।
হযরত আবু হোরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত-মিশকাত শরীফের আরও একটি হাদিসে রাসূলে পাক (সা.) নয়টি উপদেশ দিয়েছেন-এগুলো হচ্ছে:
১. আল্লাহকে প্রকাশ্যে এবং অপ্রকাশ্যে ভয় করবে;
২. আল্লাহর ভয় মনে রেখে ইনসাফের কথা বলবে-রাগে বা আনন্দে আল্লাহকে ভুলে যাবে না;
৩. ধনী বা দরিদ্র যে অবস্থায়ই থাক না কেন, ইসলামে সাবেত থাকবে অর্থাৎ বিশ্বাসে অবিচল থাকবে;
৪. অত্মীয়-স্বজন তোমাদের ত্যাগ করলে, তোমরা তাদের ত্যাগ করবে না;
৫. যারা তোমাদের শান্তি কেড়ে নেয়, তাদের তোমরা শান্তি দেবার চেষ্টা করবে;
৬. যারা তোমার উপর জুলুম করেছে তাদের মাফ করে দেবে;
৭. বেশীর ভাগ সময় নীরবতা অবলম্বন করে আল্লাহর চিস্তায় মগ্ন থাকবে;
৮. কর্থাবার্তা এবং কাজের ফাঁকে আল্লাহর জিকর অব্যাহত রাখবে;
এবং
৯. যেখানেই থাক, মন্দ কাজ থেকে বিরত থাকবে এবং অন্যকে মন্দ কাজ থেকে বিরত রাখার চেষ্টা করবে।
(মোহাম্মদ হারুন-উর-রশিদ এর‘হযরত সৈয়দ রশীদ আহমদ জৌনপুরির (রহ) সঙ্গে ধর্ম ও দর্শনকেন্দ্রিক কথোকপকথন: সংলাপ সমগ্র’ নামক বই থেকে সংগৃহীত)
এমএস/এসি