ঢাকা, রবিবার   ২২ ডিসেম্বর ২০২৪

রায়ের পরও দুর্ঘটনার ক্ষতিপূরণ পেতে ভোগান্তি (ভিডিও)

শাকেরা আরজু, একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৪:২৭, ২৬ মার্চ ২০২৩

সড়ক দুর্ঘটনার ক্ষতিপূরন পেতে কেটে যায় যুগের পর যুগ। চূড়ান্ত রায়ের পরও অনেকেই পাচ্ছেন না ক্ষতিপূরণের অর্থ। হতাশা আর ক্ষোভ প্রকাশ করে ভুক্তভোগীরা আইন যুগোপযোগী করার দাবি জানিয়েছেন। 

১৯৮৯ সালে শান্তিনগরে একটি বেভারেজ কোম্পানির ট্রাকের ধাক্কায় মারা যান সাংবাদিক মোজাম্মেল হোসেন মন্টু। ১৯৯১ সালে ক্ষতিপূরণ চেয়ে মামলা করেন স্ত্রী রওশন আক্তার। তখন শিক্ষকতা করে বেতন পেতেন ১৫০০ টাকা। সেখান থেকে ৬০০ টাকা দিতেন আইনজীবীর ফিস। আর বাকি টাকা দিয়ে চালাতে হতো সংসার। 

রওশন আক্তার বলেন, “এককালীন ৬ লাখ টাকা পেনশন বিক্রি করে দিলাম। সেই টাকাটা এনে আইনজীবীকে দিলাম। ১৫ বছর আমি আর পেনশন পেলাম না।”

সবশেষ ২০১৬ সালে আপিল বিভাগ থেকে ক্ষতিপূরণের অর্থ দিতে চূড়ান্ত রায় পেলেও পাননি ক্ষতিপূরণের অর্থ। এরপরে পার হয়েছে আরও ৬ বছর।

ভুক্তভোগী রওশন আক্তার বলেন, “৬ বছর হলো তারা টাকা দিচ্ছে না। সেজন্য আবার আমাকে মামলা করতে হলো।”

রওশন আরার মতো ক্ষতিপূরণ মামলা করে বছরের পর বছর ঘুরছেন অনেকে। যারা ক্ষতিপূরণের অর্থ পেয়েছেন তাদেরও ঘুরতে হয়েছে দীর্ঘ আইনী প্রক্রিয়ায়। 

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেন, “কোর্টের রায় হওয়ার পরও পাচ্ছেনা, এর চেয়ে বড় দুঃখ আর কি থাকতে পারে।”

সড়ক পরিবহন আইনটি হয় ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর মাসে। আর চার বছরের বেশি সময় পর হয়েছে বিধিমালা। সড়ক দুর্ঘটনায় এখন কেউ নিহত হলে ৫ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ পাবে। আর গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গহানি হলে তিন লাখ টাকা। 

আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেন, “এটি সংশোধন করা উচিত, কারণ ৫ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ এটা খুবই নগন্য।”

বিধিমালা অনুযায়ী, আর্থিক সহায়তা পাওয়ার জন্য দুর্ঘটনার পর সর্বোচ্চ ৩০ দিনের মধ্যে ট্রাস্টি বোর্ডের কাছে আবেদন করতে হবে। আবেদন করার তারিখ থেকে ১০ দিনের মধ্যে বোর্ড অনুসন্ধান কমিটি গঠন করবেন। কমিটি ৩০ দিনের মধ্যে আবেদনকারীর ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণের জন্য অনুসন্ধান করে প্রতিবেদন জমা দেবে। 

এএইচ


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি