রিসাইকেল করলেও প্রকৃতিতে থেকে যায় প্লাস্টিক বর্জ্য (ভিডিও)
প্রকাশিত : ১২:৫৬, ২৩ জুলাই ২০২২ | আপডেট: ১৩:০১, ২৩ জুলাই ২০২২
ভবিষ্যত প্রজন্মকে বাঁচাতে একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিকের বিকল্প ব্যবহারে কঠোর পদক্ষেপ চান বিশেষজ্ঞরা। পাশাপাশি পলিথিন নিষিদ্ধ আইনের প্রয়োগ চান তারা। তবে পরিবেশমন্ত্রীর দাবি, পরিবেশবান্ধব পণ্য উৎপাদনে প্রণোদনাসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছে সরকার।
সুপারি গাছের ঝরে পড়া খোল থেকেই তৈরি এসব দৃষ্টিনন্দন থালা-বাটি। যা একবার ব্যবহার্য প্লাস্টিক পণ্যের বিকল্প হিসেবে ব্যবহারের ধারণা নিয়ে গত কয়েক বছর ধরে কাজ করে যাচ্ছেন বাগেরহাটের উদ্যোক্তা ইমরান হোসেন।
ব্রাইট এরেকা লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ইমরান হোসেন বলেন, “একবার ব্যবহারযোগ্য যে প্লাটিক আছে এর ক্ষতিকর প্রভাবটা কমানোর জন্যই পরিবেশবান্ধব প্রোডাক্ট নিয়ে আসা। এটা ওভেনেও ব্যবহার করতে পারছেন, ফ্রিজেও ব্যবহার করা যাবে।”
একইভাবে বাজার থেকে পণ্য কিনে প্লাস্টিকের ব্যাগের পরিবর্তে পাট ও কাপড়ের ব্যাগে নেয়া, মোড়ক হিসেবে কাগজ এবং বাঁশ, বেত, নারকেলের মালাসহ নানা উপকরণ দিয়ে বানানো পণ্য ফিরিয়ে আনতে কাজ করছেন ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তারা।
উদ্যোক্তারা জানান, “নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র বহন করার জন্য যে পলিব্যাগ ছিল সেটার বিপরীতে পাতলা ফ্রেবরিকের জুটের ব্যাগটা বের করেছি।”
পাট, কাঠ, বাঁশ, বেত ইত্যাদির তৈরি পণ্য ব্যবহার কারা যায়, তাহলে মানুষের কর্মসংস্থান হবে। আবার এসব পণ্য পরিবেশবান্ধবও। এসব পণ্য অফিস ও বাসা-বাড়িতে ব্যবহারে জোর দিতে বলেছেন বিশেষজ্ঞরা।
এসডো মহাসচিব শাহরিয়ার হোসেন বলেন, “যদি আমরা প্লাস্টিকের চামচ থেকে সিরামিক বা স্টীলের চামচে যাই, বা ন্যাচারাল তৈরি যায় এরকম চামচে যাই সেখানে কিন্তু মানুষের কর্মসংস্থান বাড়বে এবং অর্থনৈতিকভাবে আমরা লাভবান হব। অ্যাওয়ারনেস, এডুকেশন এবং ইনফোর্সমেন্ট এই তিনটা জিনিস যদি সমানভাবে করা যায় তাহলে এটা কার্যকর সম্ভব।”
দেশে ২০০২ সালে আইনের মাধ্যমে পলিথিন নিষিদ্ধ করা হয়। কিন্তু ২০০৬ সালের পর এর আর কোনো কার্যকারিতা নেই। তবে পরিবেশমন্ত্রীর দাবি, মানুষকে সচেতন করতে সোনালী ব্যাগের উৎপাদনসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছে সরকার।
পরিবেশমন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দীন বলেন, “আমরা এনফোর্সমেন্ট করতেছি, তাদেরকে ধরে জরিমানা করছি। এটা জ্বালিয়ে দেওয়া হচ্ছে পলি ব্যাগগুলোকে। এর বিকল্প ব্যাগ হিসাবে সোনালী ব্যাগ যেটা পাট থেকে আবিষ্কার করা হয়েছে সেটা বাজারজাত করার চেষ্টা চলছে।”
অনেকেই পুনর্ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক ব্যবহারের পক্ষে মত দিলেও বিশেষজ্ঞরা বলছেন প্লাস্টিক রিসাইকেল করলেও এর বর্জ্য ঘুরে ফিরে প্রকৃতিতেই থেকে যায়।
এএইচ