ঢাকা, রবিবার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪

রুটি বিক্রেতা থেকে তারকা

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৯:৫৮, ২১ আগস্ট ২০১৭ | আপডেট: ২০:২১, ২১ আগস্ট ২০১৭

নাইজেরিয়ার লাগোস শহরের রাস্তায় রাস্তায় ফেরি করে রুটি বিক্রি করতেন ওলাওমোকে ওরিসাগোনাকে। মাত্র এক বছরের ব্যবধানে দেশটির দেশটির সফর একনজ নারী মডেল ও জাতীয় তারকা বনে গেছেন তিনি।

কিন্তু কিভাবে সম্ভব হলো এটি?

ওলাওমোকে ওরিসাগোনাকে নাইজেরিয়ার `সিনডারেলা` বলা হয়। তিনি জানান, লাগোসের জীবন অনেক কষ্টের। সেখানে জীবনযাপনের করার জন্য আপনাকে অনেক শক্ত মনের অধিকারী হতে হবে।

পশ্চিম আফ্রিকার দেশ নাইজেরিয়ার এই উঠতি তারকা বলেন, “আমার ও শিশুদের খাবার জোগাতে অনেক কষ্ট করতে হতো আমাকে। প্রতি রুটি বিক্রি করে তিন ইউএস সেন্টেরও কম লাভ হতো।”

প্রতিদিন রুটি বিক্রির টাকা দিয়েই দৈনন্দিন খরচা পাতি চালাতেন তিনি। কিন্তু জীবনের মোটর ঘুরে গেলে এক হোচট গাওয়ার ছবিতে। টিনি টেম্পা ফটোশুটে তাঁর হোচট খাবার দৃশ্য যখন ধরা পড়ে তখন থেকেই বদলে যায় তার জীবন। দুর্ঘটনাবশত ধারণ করা ওই ছবিটি ভাইরাল হয়ে পড়ে এবং তাকে তারকাখ্যাতি এনে দেয়।

তবে তারকা হয়ে উঠা তার জন্য খুব সহজ ছিলো না। তিনি বলেন, ‘প্রথমে আমার জন্য এই কাজটা অনেক কষ্টেরই ছিলো। কিন্তু সবাই মিলে আমাকে প্রশিক্ষণ দিয়েছে। কীভাবে ছবির জন্য পোজ দিতে হয়, কীভাবে মেকআপ করতে আর পোশাক পড়তে হয়। তবে বর্তমানে আমি এতে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছি।’

এরই মধ্যে বেশ কিছু মডেলিং চুক্তিও জিতে নিয়েছেন ওলাওমোকে। তবে স্যোশাল মিডিয়ায় যে খ্যাতি তার হয়েছে তাতে হয়রানির শিকারও হচ্ছেন তিনি।

ওলাওমোকে জানান, ‘ইনস্টাগ্রামে কিছু মন্তব্য খুব কষ্ট দেয়, আবার রাগও ওঠে অনেক। তবে কিছু মন্তব্য ভালো, কিছু মন্তব্য খারাপ। আমি নিজেকে এসব বিষয় বুঝানোর চেষ্টা করি।’

তিনি তার পূর্বের জীবন সম্পর্কে বলেন, ‘বেকারিতে আমার যে জীবন ছিলো তা আমি মোটেও মিস করি না। তবে কজন রুটি বিক্রেতাকে আমি খুব মিস করি। যারা আমার খুব ভালো বন্ধু ছিলো। তাদের সাথে আমার যোগাযোগ আছে। তাদের আমি কখনোই ভুলতে পারবো না।’

 সূত্র: বিবিসি।


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি