ঢাকা, সোমবার   ১০ মার্চ ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

রূপপুরের ৫৯ হাজার কোটি টাকা শেখ পরিবারে ভাগ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৯:০৭, ১৯ আগস্ট ২০২৪ | আপডেট: ০৯:১৮, ১৯ আগস্ট ২০২৪

Ekushey Television Ltd.

রূপপুর পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে ৫০০ কোটি ডলারের বেশি অর্থ আত্মসাৎ করেছেন ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আর এ দুর্নীতিতে মধ্যস্থতা করেন শেখ হাসিনার ছেলে সজিব ওয়াজেদ জয় ও ভাগ্নি টিউলিপ সিদ্দিক। 

শনিবার গ্লোবাল ডিফেন্স কর্পের অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে বের হয়ে আসে এমন তথ্য। এতে দুটি কোম্পানির মাধ্যমে শেখ হাসিনার বিভিন্ন দেশে অর্থ পাচারের তথ্যও উঠে আসে।

দেশের সবচেয়ে বড় ও ব্যয়বহুল প্রকল্প রূপপুর পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র। বলা হচ্ছে, এটি বাস্তবায়ন হলে দেশের ২০ শতাংশ বিদ্যুতের চাহিদা পূরণ হবে। তবে এ প্রকল্পেও দুর্নীতির সুযোগ নেন ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনা সরকার। শনিবার গ্লোবাল ডিফেন্স কর্প’র প্রতিবেদনে উঠে আসে তার নানা তথ্য। 

রাশিয়ার সহযোগিতায় বিদ্যুৎকেন্দ্রটির নির্মাণে খরচ ধরা হয় ১ হাজার ২৬৫ কোটি ডলার। গ্লোবাল ডিফেন্স কর্প এর প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রয়োজনের তুলনায় অনেক বেশি ছিল বাজেট। এ বাজেট থেকে ৫০০ কোটি ডলার মালয়েশিয়ার একটি ব্যাংকের মাধ্যমে আত্মসাত করেন শেখ হাসিনা। 

প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থা-রোসাটমের সহযোগিতায় এই দুর্নীতিতে মধ্যস্থতা করেন শেখ হাসিনার ছেলে সজিব ওয়াজেদ জয় ও ভাগ্নি টিউলিপ সিদ্দিক।

গ্লোবাল ডিফেন্স কর্প বলছে, মধ্যস্থতার বিনিময়ে পাচার করা অর্থের ৩০ শতাংশ পান টিউলিপ, শেখ রেহানা ও পরিবারের কয়েকজন সদস্য।

অভিযোগ রয়েছে, প্রচ্ছায়া লিমিটেড ও জুমানা ইনভেস্টমেন্ট নামে দুটি কোম্পানি চালু করেন টিউলিপ, তার মা শেখ রেহানা ও চাচা তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা তারিক আহমেদ সিদ্দিক। ওই দুই কোম্পানির মাধ্যমেই শেখ হাসিনা যুক্তরাজ্যসহ বিভিন্ন দেশে প্রায় ৯০ কোটি ডলার পাচার করেছেন।

২০১৩ সালে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে শেখ হাসিনার সাক্ষাতের সময় সঙ্গী ছিলেন টিউলিপ সিদ্দিক। গ্লোবাল ডিফেন্স কর্পের দাবি, সে সময় ঢাকা-মস্কোর বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র চুক্তির মধ্যস্থতাও করেন তিনি।

এএইচ


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি