রেমিটেন্স অর্জনের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে সংশয় (ভিডিও)
প্রকাশিত : ১৫:৫৭, ২৮ আগস্ট ২০১৮
মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার বন্ধ হওয়ায় চলতি বছর ১৫ বিলিয়ন রেমিটেন্স অর্জনের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন বিশ্লেষকরা। দুর্নীতির কারনে জনশক্তি রপ্তানি বন্ধ হলেও স্বচ্ছতা-জবাবদিহিতা নিশ্চিত করে নতুন ভাবে রপ্তানি কার্যক্রম শুরু করারও তাগিদ তাদের। আর রপ্তানিকারকদের আশা, শিগগিরই প্রতিযোগিতামূলক বাজার ব্যবস্থা চালু করবে মালয়েশিয়া।
বাংলাদেশ জনশক্তি রপ্তানিকারক সমিতির হিসাবে গত বছরের মার্চ থেকে চলতি বছরের জুলাই পর্যন্ত মালয়েশিয়ার বাজারে জনশক্তি রপ্তানি হয়েছে এক লাখ ৯০ হাজার। `জিটুজি-প্লাস` পদ্ধতিতে কর্মী নেওয়া আগামী পহেলা সেপ্টেম্বর থেকে স্থগিত করে দিচ্ছে দেশটি। জনশক্তি রপ্তানিতে ১০টি এজেন্সির বিরুদ্ধে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ ছিল। একজন কর্মীর মালয়েশিয়ায় যেতে যেখানে মাত্র ৪০ হাজার টাকা লাগার কথা, সেখানে এজেন্সিগুলো চার লক্ষ টাকা পর্যন্ত আদায় করতো।
অর্থনীতিবিদরা বলছেন, মালয়েশিয়ার বাজার বন্ধ হওয়ায় দেশের শ্রমবাজারে যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হবে, তেমনি চলতি বছর ১৫ বিলিয়ন ডলার রেমিটেন্স আয়ও চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে।
তবে ট্র্যান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ-টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলছেন, দুর্নীতির অভিযোগ থেকে শিক্ষা নিয়ে জনশক্তি রপ্তানি নতুনভাবে শুরু হলে দেশেরই মঙ্গল হবে।
এছাড়া স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করে জনশক্তি রপ্তানিতে সিন্ডিকেট বন্ধে সরকারকে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ারও তাগিদ দেন বিশ্লেষকরা।
আরও পড়ুন