ঢাকা, মঙ্গলবার   ২৬ নভেম্বর ২০২৪

রেমিট্যান্স আহরণের শীর্ষ দশে বাংলাদেশ

প্রকাশিত : ১৫:২৭, ১০ এপ্রিল ২০১৯

রেমিট্যান্স আহরণে এবারও বিশ্বের শীর্ষ দশের মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ। ২০১৮ সালে বিশ্বব্যাপী প্রবাসীরা তাদের নিজ দেশে ৬৮৯ বিলিয়ন ডলার পাঠিয়েছেন, যা আগের বছরের চেয়ে ৯ শতাংশ বেশি। ২০১৭ সালে বিশ্বব্যাপী অন্তর্মুখী রেমিট্যান্স ছিল ৬৩৩ বিলিয়ন ডলার।

এই বিপুল রেমিট্যান্স আয়ের অর্ধেকের বেশি এসেছে ১০টি দেশে। শীর্ষ ১০ দেশে এসেছে ৩৩৫ বিলিয়ন ডলার। শীর্ষ ১০ দেশের মধ্যে এবারও বাংলাদেশ আছে। গতবছর বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে বাংলাদেশে ১৫ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে, যা ২০১৭ সালে ছিল ১৩ বিলিয়ন ডলার। তবে উভয় বছরেই বাংলাদেশের অবস্থান নবম।

গত সোমবার প্রকাশিত বিশ্বব্যাংকের অভিবাসন ও রেমিট্যান্স বিষয়ক সর্বশেষ প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিপুল রেমিট্যান্স আয়ের সিংহভাগই গেছে নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে।

২০১৮ সালে নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোর প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্স প্রবাহ ৯ দশমিক ৬ শতাংশ বেড়েছে, যা ২০১৭ সালে ৮ দশমিক ৮ শতাংশ। সারাবিশ্ব থেকে নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলো গতবছর ৫২৯ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স পেয়েছে।

প্রধানত যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চ প্রবৃদ্ধি এবং মধ্যপ্রাচ্যের বেশ কয়েকটি দেশ ও রাশিয়া ফেডারেশনের আর্থিক অবস্থার উন্নতির ফলে রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়েছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে বিশ্বব্যাংক।

চলতি ২০১৯ সালেও রেমিট্যান্সের এ অবস্থা বজায় থাকবে বলে মনে করছে বিশ্বব্যাংক। চলতি বছর নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে ৫৫০ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স যাবে বলে সংস্থাটি পূর্বাভাস দিয়েছে। তবে কিছু ঝুঁকিও রয়েছে।

বিশ্বব্যাংকের হিসাব অনুযায়ী, গতবছর সবচেয়ে বেশি ৭৮ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স পেয়েছে ভারত। রেমিট্যান্স আহরণে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে চীন। দেশটিতে ৬৭ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। ৩৫ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স আহরণ করে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের পার্শ্ববর্তী দেশ মেক্সিকো।

৩৩ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স আহরণ করে চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে ফিলিপাইন। পঞ্চম অবস্থানে রয়েছে মিসর। নীল নদের এ দেশ ২৮ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স পেয়েছে। আফ্রিকান দেশ নাইজেরিয়া ২৪ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার আহরণ করে রয়েছে ষষ্ঠ অবস্থানে। সপ্তম অবস্থানে রয়েছে পাকিস্তান।

দেশটি গতবছর ২১ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স আহরণ করেছে। অষ্টম স্থানে রয়েছে ভিয়েতনাম। দেশটি গতবছর ১৫ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স পেয়েছে। আর ১৫ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স আহরণ করে নবম অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। ১৪ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স সংগ্রহ করে দশম অবস্থানে রয়েছে ইউক্রেন।

জিডিপির অনুপাতে রেমিট্যান্স বাড়ানো জাতিসংঘ নির্ধারিত টেকসই উন্নয়ন অভীষ্টের (এসডিজি) লক্ষ্যগুলোর মধ্যে অন্যতম। পাশাপাশি রেমিট্যান্স পাঠানোর খরচ কমানো এবং প্রবাসী শ্রমিকদের নিয়োগ প্রক্রিয়ার খরচ কমানোও এসডিজির লক্ষ্য।

বিশ্বব্যাংক বলেছে, ২০০ ডলার পাঠাতে বর্তমানে গড়ে ৭ শতাংশ হারে প্রবাসীদের খরচ করতে হয়। এসডিজিতে এই খরচ সর্বোচ্চ ৩ শতাংশ নামিয়ে আনার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে।


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি