রেলপথে পণ্য আমদানি: চার মাসে সোয়া ৮ কোটি আয়
প্রকাশিত : ১৫:৪৬, ১৮ নভেম্বর ২০২১
ভারত থেকে ট্রেনে পণ্য আমদানি বেড়েছে। চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-অক্টোবর) ট্রেনে মোট ১ লাখ ২০ হাজার টন পণ্য আমদানি করেছে বাংলাদেশের আমদানিকারকরা। আর এ থেকে রেলওয়ের আয় হয়েছে ৮ কোটি ২৬ লাখ টাকা।
আমদানিকৃত পণ্যের মধ্যে বেশির ভাগই গার্মেন্টস, পেঁয়াজ, আদা, মরিচ, হলুদ, ধানবীজ, গম, চিনি, পিকআপ ভ্যানসহ বিভিন্ন পণ্য।
ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, বেনাপোল ও ভারতের পেট্রাপোল বন্দরে চাঁদাবাজিসহ নানা অনিয়মের কারণে এখন ট্রাকের পরিবর্তে ট্রেনে করে পণ্য আমদানি করছেন আমদানিকারকরা। এছাড়া বেনাপোল বন্দরে পণ্য রাখার জায়গার অভাবসহ পেট্রাপোল বন্দরের বেসরকারি কালীতলা পার্কিং সিন্ডিকেটের কারণে ৩৫ থেকে ৪০ দিন সময় লেগে যায়। ক্ষতিপূরণ দিতে হয় লাখ লাখ টাকা। এসব কারণে ট্রাকে পণ্য আমদানিতে নিরুৎসাহিত হচ্ছেন আমদানিকারকরা।
ইন্দো-বাংলা চেম্বার অফ কমার্স সাব-কমিটির পরিচালক মতিয়ার রহমান বলেন, জায়গা সংকটসহ বন্দরের নানা অনিয়মের কথা আমরা দীর্ঘদিন ধরে বন্দর কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে আসছি। কিন্তু বন্দর কর্তৃপক্ষ তেমন কোনো কার্যকর ভূমিকা নেননি। নানা হয়রানির কারণে ট্রেনে আমদানি পণ্য আনা বেড়েছে।
সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মফিজুর রহমান সজন বলেন, পেট্রাপোল বন্দর থেকে বেনাপোল বন্দরের দূরত্ব এক কিলোমিটারও নয়। এতটুকু দূরত্বে আসতে যদি ৩৫ থেকে ৪০ দিন সময় লাগে, তাহলে এ বন্দর দিয়ে সড়কপথে কোনো আমদানিকারক কি আমদানি করবেন? উভয় দেশের বন্দরে চাদাঁবাজি, অনিয়ম-দুর্নীতি ও যানজটের কারণে দুই দেশের ট্রেনে পণ্য আমদানি বেড়েছে।
বেনাপোল স্টেশনমাস্টার সাইদুজ্জামান বলেন, জুলাই থেকে অক্টোবর এই চার মাসে ট্রেনে পণ্য পরিবহন থেকে বাংলাদেশ রেলওয়ের আয় হয়েছে ৮ কোটি ২৬ লাখ টাকা। এ সময়ে পণ্য আমদানি হয়েছে ১ লাখ ২০ হাজার মেট্রিক টন।
এএইচ/
আরও পড়ুন