রোগ অবস্থায় রোগীর করণীয়
প্রকাশিত : ০৮:৫৯, ২০ মে ২০২০
বর্তমান সময়ে মহামারীর প্রাদুর্ভাব চলছে সারা পৃথিবী জুড়ে। এছাড়া আমাদের দেশে মাঝে মাঝেই ডেঙ্গুর প্রকোপ বেড়ে যায়। সাধারণ রোগ-ব্যাধি তো রয়েছেই। যারাই যখন কোন রোগ-ব্যাধিতে আক্রান্ত হন তখন ধৈর্য্যহারা হয়ে যান, বিচলিত হয়ে পড়েন। এতে রোগীর অবস্থা আরও জটিল হয়ে পড়ে। কিন্তু ইসলাম রোগাক্রান্ত অবস্থায় ধৈর্য্য ধারণ ও আল্লাহকে বেশি বেশি স্মরণ করতে বলা হয়েছে। তাতে রোগীর কষ্ট লাঘব হবে, তেমনি দ্রুত আরোগ্য লাভ করা সম্ভব হবে।
ইসলামে রোগাক্রান্ত অবস্থায় রোগীর কী কী করণীয় রয়েছে, তা এবার জেনে নেওয়া যাক-
* আল্লাহ তায়ালা যাকে ভালবাসেন তাকেই কোন বিপদ দিয়ে থাকেন। তাই রোগকে আল্লাহর নেয়ামত মনে করতে হবে। তবে রোগ মুক্তির জন্য চিকিৎসা বা দোয়া করা এ ধারণার পরিপন্থী নয়। কারণ, রোগমুক্তি এবং নিরাপদ থাকাও আল্লাহর নেয়ামত। দুর্বল বান্দার পক্ষে এই প্রকারের নেয়ামতই আছান।
* রোগকে গোনাহ মোচনের ওছিলা মনে করতে হবে।
* অসুস্থ অবস্থায় সমস্ত গোনাহ থেকে তওবা করবে।
* ধৈর্য্য ধারণ করতে হবে।
* চিকিৎসা করাতে হবে। চিকিৎসা করানো সুন্নাত।
* যিকির, দোয়া, নামায ও কোরআন তেলাওয়াতপূর্বক সুস্থতা কামনা করতে হবে।
* রোগের মাত্রা অধিক করে প্রকাশ করবে না। যেমন- কেউ এলে বসা থেকে শুয়ে যাওয়া কিংবা কাতরাতে থাকা ইত্যাদি। এর দ্বারা নিজেকে বেশি অসুস্থ করে দেখানোর দ্বারা আল্লাহর না-শোকরী প্রকাশ পায়। তদুপরি এতে অন্যদেরকে ধোঁকা দেয়া হয়।
* যত্ন-সেবাকারীদের প্রতি রাগান্বিত হওয়া যাবে না।
* খাদ্য-খাবারের প্রতি রাগ প্রকাশ করা যাবে না।
* মুমূর্ষু অবস্থায় আল্লাহর রহমত লাভের আশা প্রবল করা সুন্নাত।
* মুমূর্ষু ব্যক্তি জীবনের ভাল-মন্দ কার্যাবলী সম্পর্কে মনে মনে হিসাব-নিকাশ ও পর্যালোচনা করবে না। কেননা, এতে মন্দের পরিমাণের আধিক্য দেখে আল্লাহর রহমত পাওয়ার আশা দুর্বল হয়ে পড়তে পারে।
* মুমূর্ষু অবস্থায় বেশি বেশি আল্লাহর যিকিরে মশগুল থাকা সুন্নাত।
* মৃত্যুকে বেশি বেশি স্মরণ করবে। তবে মৃত্যু কামনা করা নিষেধ। একান্ত কষ্ট-যন্ত্রণায় অপারগ হয়ে গেলে এই দোয়া করা যায়- ‘হে আল্লাহ! যতক্ষণ আমার জন্য বেঁচে থাকা কল্যাণকর, ততক্ষণ তুমি আমাকে জীবিত রাখ। আর যদি মৃত্যুই আমার জন্য কল্যাণকর হয়, তাহলে ঈমানের সঙ্গে মৃত্যু ঘটাও।
সূত্র: আহকামুন নিসা গ্রন্থ।
এএইচ/