রোজায় গরুর মাংস ৪৫০ টাকা [ভিডিও]
প্রকাশিত : ২১:৩৮, ১৪ মে ২০১৮ | আপডেট: ২৩:২৩, ১৪ মে ২০১৮
রোজার মাসে দেশি গরুর মাংসের দাম ৪৫০ টাকা নির্ধারণ করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন (ডিএসসিসি)। সোমবার নগর ভবনে মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকনের সভাপতিত্বে দক্ষিণ সিটির মাংস ব্যবসায়ীদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় এই দাম নির্ধারণ করা হয়।
এই দাম গতবছর রোজায় নির্ধারিত দামের চেয়ে ২৫ টাকা কম। গত বছর প্রতি কেজি গরুর মাংসের জন্য ৪৭৫ টাকা দাম নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছিল।
মেয়র জানান, এবার ভারতীয় গরুর মাংস প্রতি কেজি ৪২০ টাকা, মহিষের মাংস ৪২০ টাকা, খাসির মাংস ৭২০ টাকা এবং ভেড়া ও ছাগলের মাংস ৬শ’ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এই দাম সিটি কর্পোরেশনের আওতাধীন বাজারগুলো ছাড়াও সুপারশপগুলোর জন্য প্রযোজ্য হবে।
উত্তর সিটি কর্পোরেশন এই দাম মেনে চলবে কি না- এমন প্রশ্নে মেয়র বলেন, সাধারণত আমরা যে দর নির্ধারণ করি তারাও সেটাই করে। গত বছরও দুই সিটি কর্পোরেশনের মাংসের দাম একই ছিল।
এই দাম না মানলে সংশ্লিষ্ট মাংস বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান মেয়র।
তিনি বলেন, এবার মাংসের দাম গতবারের চেয়ে একটু কম। আজকে এই নির্ধারিত দামই সর্বোচ্চ দর হিসেবে বিবেচিত হবে। কিন্তু বিভিন্ন সময় অভিযোগ আসে যে নির্ধারিত দামের চেয়ে অতিরিক্ত দামে মাংস বিক্রি করেন অনেকে। সিটি কর্পোরেশনের মূল্য তালিকা মানেন না। এবার কেউ বেশি দাম নিলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
গত বছর প্রতি কেজি দেশি গরুর মাংসের দাম ঠিক হয়েছিল ৪৭৫ টাকা। এ ছাড়া ভারতীয় গরুর মাংস প্রতি কেজি ৪৪০ টাকা, মহিষের মাংস ৪৪০ টাকা, খাসির মাংস ৭২৫ টাকা এবং ভেড়া ও ছাগলের মাংস ৬২০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল।
রমজান উপলক্ষে বেধে দেওয়া এ দর ১ থেকে ২৬ রমজান পর্যন্ত কার্যকর থাকবে।
প্রতি বছর রোজায় খাদ্যপণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠলেও এবার বাজার সহনীয় থাকবে বলে আশা প্রকাশ করে মেয়র বলেন, আমরা বলতে পারি- পণ্যমূল্য ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রয়েছে। অধিকাংশ পণ্যের দাম স্থিতিশীল আছে। আশা করি এমনটা পুরো রমজান জুড়ে থাকবে।
সভায় মাংস ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি রবিউল আলম, ডিএসসিসি কর্মকর্তা মো. জাহিদ হোসেন, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা ইউসুফ আলী সরদার, গোলাম মর্তুজা মন্টু, শেখ আবদুল বারেকসহ মহানগর এলাকার মাংস ব্যবসায়ী সমিতির প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। বাসস
এমএইচ/টিকে
আরও পড়ুন