রোযা কী উচ্চ রক্তচাপ রোগীদের জন্য কোন সমস্যা (ভিডিও)
প্রকাশিত : ২২:৫৪, ৮ মে ২০১৯ | আপডেট: ১৬:১৪, ৯ মে ২০১৯
উচ্চ রক্তচাপ রোগীর ক্ষেত্রে রোযা রাখা শারীরিক ভাবে কোন নেগেটিভ প্রভাব বিস্তার করবেনা। বরং একমাস রোযা রাখার ফলে অতিরিক্ত খাবার কম খাওয়া হচ্ছে। ফলে শরীরের চর্বি কমে যাচ্ছে। তাতে শুধু উচ্চ রক্ত চাপ নয়, হার্টের রোগ ও কিডনি রোগ অনেকটা নিয়ন্ত্রণে থাকছে।
একুশে টিভি আয়োজীত সিয়াম ও আমার স্বাস্থ্য বিষয় অনুষ্ঠানে বিভাগীয় প্রধান, কর্ণেল মালেক বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিকেল কলেজ প্রফেসর ড. মো: তৌফিকুর রহমান।
তিনি বলছেন, নানা খাবারের মাধ্যমেও যেহতু লবন শরীরে যাচ্ছে। ফলে উচ্চ রক্ত চাপ ভাড়ার সম্ভাবনা থেকে যায়। কারন রক্তচাপকে উচ্চ রক্তচাপে তৈরীতে রক্তের ভলুম একটা অন্যতম উপাদান। রক্তে ভলুমের মাত্রা বেড়ে গেলে রক্তচাপ বেড়ে গিয়ে উচ্চ রক্তচাপের সৃষ্টি হতে পারে। কারণ খাবারে লবনের মাত্রা বেশি হলে রক্তে ভলুম বেড়ে যায়। তাই যে কোন খাবারে যেন লবনের মাত্র কম হয়। একই লবন যুক্ত অন্য যে কোন খাবার এড়িয়ে যেতে হবে।
এক প্রশ্নের জবাবে উচ্চ রক্তচাপের লক্ষণ নিয়ে তিনি আরো বলছেন, প্রায় ৭০ থেকে ৯০ ভাগ উচ্চ রক্তচাপ রোগীর ক্ষেত্রে কোন লক্ষণ বোঝা যায়না। উচ্চ রক্তচাপ রোগীদের মধ্যে মাত্র ১০ ভাগ রোগীদের সিমটম বোঝাযায়। যেমন: মাথা ঘোড়া, বুমিবুমি ভাব এবং মাঝে মাঝে ধাক্কা মারা। উচ্চ রক্তচাপ রোগীদের মধ্যে ৩০ বয়সীদের ৬ মাস অন্তর রক্তচাপ চেক করে মাত্রা নিরধারণ করতে হবে। যদি রক্তচাপ বেশি মাত্রায় থাকলে তা হবে উচ্চ রক্ত চাপ। প্রয়োজনে ডাক্তারের পরামর্শে চিকিৎসা নিতে হবে। প্রয়োজনে ডোজ বাড়তেও পারে কমতেও পারে।
এসময় তিনি এও বলেন, সাধারণত রক্তের চাপ উপরেরটা ১০০- থেকে ১৪০ এবং নিচের টা ৬০ থেকে ৯০ হলে তা স্বাভাবিক। এর উপরে চলেগেলে উচ্চ রক্তচাপ ধরাহয়।
রমযানমাসে ইফতারের টেবিলে, উচ্চ রক্ত চাপ রোগীর খাবের মেনুতে অবশ্যই স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে হবে। যেমন কারবাইট খাবার পরিহার করতে হবে। যেমন সরবতে চিনি খেতে হবে। একই ভাবে মিষ্টি জাতীয় খাবারেও চিনি কম দিতে হবে বলেন অধ্যাপক।
এম আর/