রোযাদার ব্যক্তির দুটি আনন্দ
প্রকাশিত : ১০:০৮, ৭ মে ২০১৯ | আপডেট: ১৬:২৬, ৮ মে ২০১৯
হাদীস শরীফে বর্ণিত আছে- রাসূল (সা.) বলেছেন, ‘রোযাদারের জন্য দুটি আনন্দ। একটি ইফতারের সময়, অন্যটি তার মালিক আল্লাহর সঙ্গে সাক্ষাৎ লাভের সময়।’
রোযাদারের ইফতারের সময় আনন্দ হলো সারাদিন উপবাসের পর সূর্য অস্তের প্রাক্কালে ইফতার সামনে নিয়ে বসে থাকেন। যখন তার সামনে বিভিন্ন প্রকারের খাবার থাকে। তখন তার মনটা আনন্দ পায়। কারণ সারাদিন অনাহারে থাকার দরুন ক্ষুধার তীব্রতা দেখা দেয়। রোযাদার ব্যক্তি সারাদিন ক্ষুধার জ্বালা-যন্ত্রণা নিয়ে ইফতারের পূর্ব মুহূর্তে বিভিন্ন রকমের ফল ও খাদ্য নিয়ে বসে আছে। কিন্তু সে খায় না। কেন আমরা এ কাজ করি? এর কারণ হলো মহান রাব্বুল আলামিনের ভয় আমাদের অন্তরে আছে বলেই নিবৃত্ত থাকি। এ নিবৃত্ত থাকা তাক্বওয়ার কারণেই।
রমজানের প্রতিদিন ইফতারের সময় আল্লাহতায়ালার পক্ষ থেকে হাজার হাজার ব্যক্তি দোযখ থেকে মুক্তি পাবে। যাদের জন্য দোযখ অবধারিত হয়ে গিয়েছিল। (রায়হাকী)
রোযাদার ব্যক্তির দ্বিতীয় আনন্দ হলো কিয়ামতের দিন রোযাদাররা মহান রাব্বুল আলামিনকে দেখবে। এ দেখার মধ্যে দিয়ে বান্দার যে কত দিন, মাস, বছর, শতাব্দী চলে যাবে সেটা বান্দা টের পাবে না।
তথ্যসূত্র : মাওলানা হারুনুর রশিদের রমজানে করণীয় ও বর্জনীয় গ্রন্থ থেকে
এএইচ/