ঢাকা, মঙ্গলবার   ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪

রোহিঙ্গা ইস্যুতে জাতিসংঘের নিন্দা করল টিআইবি

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২০:২০, ৮ অক্টোবর ২০১৭

আগে থেকে জানা সত্ত্বেও রোহিঙ্গা সংকটের বিষয়ে সঠিক ভূমিকা না রাখার অভিযোগ ওঠার পরিপ্রেক্ষিতে জাতিসংঘের নিন্দা করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। আজ রোববার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ নিন্দা জানায় টিআইবি।

রাখাইন রাজ্যে নতুন করে সহিংসতা শুরু হওয়ার আগেই নিরপেক্ষ বিশেষজ্ঞদের দিয়ে একটি প্রতিবেদন তৈরি করেছিল জাতিসংঘ। সহিংসতা শুরুর আগেই বিশেষজ্ঞরা প্রতিবেদন জমা দিয়েছিলেন। সেই প্রতিবেদনে রোহিঙ্গা ইস্যুতে জাতিসংঘের নীতির সমালোচনা করা হয় বলে দাবি করেছে গার্ডিয়ান। সংবাদ সংস্থাটি বলছে, ওই প্রতিবেদনের সুপারিশগুলো নিয়ে কাজ করার বদলে জাতিসংঘ তা ‘ধামাচাপা’ দেওয়ার চেষ্টা করেছিল। গত মে মাসে ওই প্রতিবেদনটি পেয়েছিল জাতিসংঘ। কিন্তু তা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়।

টিআইবি বলেছে, ওই প্রতিবেদনটি নিয়ে সঠিক সময়ে কাজ করার ক্ষেত্রে জাতিসংঘ ব্যর্থ হয়েছে। এমন পদক্ষেপ অগ্রহণযোগ্য।

গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দ্য গার্ডিয়ান বলেছে, ওই প্রতিবেদনে রোহিঙ্গাদের প্রতি মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীগুলোর আচরণকে ‘বৈষম্যমূলক’ বলে অভিহিত করা হয়েছিল। পরে গত আগস্ট ও সেপ্টেম্বর মাসে রোহিঙ্গা সংকটের সূচনা হয়।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, নিষ্ক্রিয় থাকার এ ঘটনায় আমরা জাতিসংঘের ব্যাখ্যা চাই। বিশেষ করে জাতিসংঘ যা করার কথা বলে, সেটিই করতে না পারার ব্যাপারে ব্যাখ্যা দেওয়া উচিত। কেউই, এমনকি জাতিসংঘও জবাবদিহির ঊর্ধ্বে নয়। ওই প্রতিবেদনটি অবশ্যই প্রকাশ করা উচিত এবং এই ব্যর্থতার জন্য যাঁরা দায়ী, তাদের বিচারের আওতায় আনা উচিত।

ইফতেখারুজ্জামান আরও বলেন, এমন গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদনটি কেন ‘ধামাচাপা’ দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল, তার কারণ ব্যাখ্যা করার সাহস জাতিসংঘের থাকা উচিত।

মিয়ানমারের উত্তর পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য রাখাইনের সীমান্তে গত ২৪ আগস্ট রাতে একাধিক তল্লাশিচৌকিতে সন্ত্রাসীদের হামলায় দেশটির নয়জন পুলিশ সদস্য নিহত হয়। এরপর থেকে বিদ্রোহী দমনের নামে মিয়ানমার সেনাবাহিনী অভিযান শুরু করে। সেনাবাহিনী ব্যাপক ধ্বংসাযজ্ঞকে জাতিসংঘ রোহিঙ্গা জাতিগত নিধনের সঙ্গে তুলনা করে। জীবন বাঁচাতে পালিয়ে এসে প্রায় সোয়া পাঁচ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। তারা মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে ধর্ষণ, ঘরবাড়িতে অগ্নিসংযোগ, হত্যা ও নির্যাতনের অভিযোগ করেছেন।

ডব্লিউএন

 


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি