ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪

রোহিঙ্গা: একটি অধিকার বঞ্চিত জাতিসত্তার জীবনগাঁথা

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৮:৩৪, ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৮

১. রোহিঙ্গা সঙ্কট বর্তমান সময়ের খুব আলোচিত একটি বিষয়। অধিকার বঞ্চিত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী বর্তমানে তাদের ইতিহাসের সবচেয়ে কঠিনতম অধ্যায় পার করছেন।

গণহত্যা, জাতিগত নিধন ও মানবতা বিরোধী অপরাধের শিকার এ জনগোষ্ঠী নিজ ভূমি থেকে বিতারিত হয়ে সীমান্তবর্তী বিভিন্ন ক্যাম্পে মানবেতর জীবন যাপন করছেন।

তথা কথিত বিদ্রোহ দমন এবং শৃঙ্খলা রক্ষার নামে ২০১৭ সালের আগস্টে নিষ্ঠুরতম সেনা অভিযান শুরু করে মিয়ানমার। হত্যা, ধর্ষন, লুন্ঠন, অগ্নি সংযোগ, দেশ ত্যাগে বাধ্য করা ইত্যাদি এমন কোন অপরাধ নেই যা রোহিঙ্গাদের সঙ্গে করা হয়নি।

এই নৃশংস ধ্বংযজ্ঞে বাধ্য হয়ে সাত লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। জাতিসংঘ এই হত্যাযজ্ঞকে ‘এথনিক ক্লিনসিং’ (জাতিগত নিধন) বলে অভিহিত করেছে।

তবে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ বরাবরই গনহত্যার অভিযোগ অস্বীকার করে উলটো অভিযোগ করে যে, রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী নিজ সম্প্রদায়ের সন্ত্রাসীদের ভয়ে বসতি ত্যাগ করে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে।

জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের গতবছরের মার্চ মাসে গঠিত ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশন সম্প্রতি একটি প্রতিবেদন দাখিল করে স্পষ্টভাবে বলেছে যে, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে গণহত্যার সবগুলো উপাদান বিদ্যমান।

জাতিসংঘ গনহত্যার অভিযোগে মিয়ানমারের সেনা প্রধান সিনিয়র জেনারেল মিন অং হ্লাইং সহ ছয় জেনারেলের বিচারের সুপারিশ করেছে। রাখাইন রাজ্যে যুগ যুগ ধরে পরিচালিত হত্যাযজ্ঞের পরে এই প্রথম জাতিসংঘের কোনো প্রতিবেদনে মিয়ানমার সেনাবাহিনীকে গনহত্যার অভিযোগে বিচারের মুখোমুখি করার কথা বলা হয়েছে।   

২. মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ বরাবর দাবি করে আসছে যে, রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী তাদের নাগরিক নয় বরং তারা বাংলাদেশ থেকে আগত অবৈধ অভিবাসী। কিন্তু ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায় যে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী কখনোই বাংলাদেশ আগত কোনো অভিবাসী নয়।

আরাকান রাজ্য হচ্ছে দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার একটি ঐতিহাসিক উপকূলীয় অঞ্চল। এর পশ্চিম সিমান্ত বঙ্গোপসাগর সংলগ্ন, উত্তরে ভারত এবং পুবে বার্মার মূল ভূখন্ড।

আরাকান পর্বত এই ভূখন্ডটিকে বিচ্ছিন্ন করে রেখেছে। এই অঞ্চলটি বর্তমানে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য নামে পরিচিত।

অষ্টম শতাব্দীতে এই রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী ছিল একটি স্বাধীন আরাকান রাজ্যের বাসিন্দা। নবম থেকে চতুর্দশ শতাব্দির মধ্যবর্তী সময়ে এই রোহিঙ্গারা আরব বনিকদের মাধ্যমে ইসলামের সংস্পর্শে আসে।

মধ্যযুগে আরব বনিকগণ সমুদ্রপথে বানিজ্যিক উদ্দ্যেশে রাখাইন রাজ্যে আসতেন এবং স্থানীয় নারীদের বিয়ে করে তারা এখানেই বসতি স্থাপন করতেন। এভাবে রাখাইন রাজ্যে আরব বনিক এবং স্থানীয় অধিবাসীদের সংমিশ্রনে রোহিঙ্গা মুসলিম জাতির সুত্রপাত হয়।

ইতিহাস পর্যালোচনায় পাওয়া যায় যে, আরাকান একসময় স্বাধীন রাজ্য ছিল এবং বার্মিজ শাসকগোষ্ঠি বহুবার আরাকান রাজ্য আক্রমন করেছিল। আরাকান থেকে পার্শ্ববর্তী অঞ্চলসমুহে শরনার্থী প্রবাহ কোন নতুন ঘটনা নয়।

১৯৭৮ সালে ব্যাপক সংখ্যায় রোহিঙ্গা বিতারনের পূর্বেও চট্টগ্রামে ব্যাপক সংখ্যায় শরনার্থীর আগমন ঘটেছিল। আরাকান রাজ্যে পুনঃ পুনঃ বার্মিজ আক্রমন ও ধ্বংশযজ্ঞে ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে আরাকানের রোহিঙ্গা মুসলিম ব্যাতিত অন্যান্য জনগোষ্ঠীও বিভিন্ন সময়ে এ দেশে পালিয়ে এসেছিল যাদের মধ্যে পার্বত্য চট্টগ্রামের চাকমা, তঞ্চঙ্গ্যা, কক্স বাজারের রাখাইন সম্প্রদায় এবং বান্দরবানের মার্মা জনগোষ্ঠী উল্লেখযোগ্য।

৩. আরাকান রাজ্যে পরিচালিত বার্মিজ আক্রমনগুলোর মধ্যে আনারাতা, মিন খং ইয়াজা এবং বুদাপায়ার আক্রমন গুলো বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। আনারাতা, বার্মার একজন নৃশংস রাজা, ১০৪৪ খ্রিষ্টাব্দে আরাকান রাজ্য আক্রমন করে ব্যাপক ধ্বংশযজ্ঞ সাধন করেন এবং তিনি আরাকানকে ভারতীয় ভাবধারার জনগোষ্ঠীর প্রভাব থেকে মুক্ত করার উদ্দ্যেশ্যে তিব্বতি-বার্মিজ বৌদ্ধ জনগোষ্ঠিকে ওই অঞ্চলে সেটেল করতে ব্যাপকভাবে সহায়তা করেন।

আনারাতার নৃশংসতায় ভীত হয়েই চাকমা জনগোষ্ঠি আরাকান থেকে চট্টগ্রামের পার্বত্য এলাকায় আশ্রয় নেন। বার্মিজ রাজা মিন খং ইয়াজা ১৪০৬ খ্রিষ্টাব্দে আরাকানে আরেক নৃশংস অভিযান পরিচালনা করে রাজা নরমিকালা কে বিতারিত করেন।

রাজা নরমিকালা আরাকান থেকে পালিয়ে এসে গৌড়ে গিয়াসউদ্দীন আজম শাহর আশ্রয় লাভ করেন। আই আক্রমনের সময়ও বহু সংখ্যাক আরাকানি জনগণ এ অঞ্চলে এসে আশ্রয় নেন।

পরবর্তীতে ১৪৩০ খ্রিস্টাব্দে সুলতান জালাল উদ্দীন খান ওয়ালি খানের নেতৃত্বে এক বিশাল বাহিনী আরাকানে পাঠান যারা রাজা নরমিকালা কে আরাকানে পুনপ্রতিষ্ঠিত করেন। পরবর্তীতে ওয়ালি খান নরমিকালা কে সরিয়ে নিজেই আরাকানের শাসনভার গ্রহন করেন এবং এই ওয়ালি খানই ছিলেন আরাকানের প্রথম স্বাধীন মুসলিম শাসক।

৪. বার্মিজ শাসক বুদাপায়া কর্তৃক ১৭৮৪ সালের ডিসেম্বর মাসে পরিচালিত আরাকানের সেনা অভিযান কে বলা হয় ইতিহাসের সবচেয়ে নৃশংসতম এক গণহত্যা। এ আক্রমনের ফলে আরাকানের রাজা ‘গা থান্দি’ তার অনুসারিদের নিয়ে পালিয়ে এসে চট্টগ্রামের গভীর জঙ্গলে আশ্রয় গ্রহন করেন।

তাদের বংশধরগন বর্তমানে মরমা নামে পরিচিত যারা বান্দরবানে বসবাস করেন। পুনঃ পুনঃ বার্মিজ আক্রমন ও নৃশংসতায় আরাকানের হিন্দু মুসলিম নির্বিশেষে দলে দলে বঙ্গ অঞ্চলে আশ্রয় গ্রহন করেন।

১৭৯০ খ্রিস্টাব্দে হেরাম কক্স নামক একজন ব্রিটিশ কুটনৈতিক দূতকে পাঠানো হয় রিফিউজিদের অবস্থা পর্যবেক্ষনের জন্য যিনি কক্স বাজার শহরের গোরাপত্তন করেন যেখানে আজও হাজারো রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠির লোকজন বসবাস করেন।

পরবর্তীতে ব্রিটিশ কর্তৃক ১৮২৪ সালে আরাকান দখলিকৃত হয়। আরাকানে বারংবার বার্মিজ আক্রমন ও গনহত্যায় এখানকার অধিবাসীরা পার্শ্ববর্তী অঞ্চলসমূহে পালিয়ে যাওয়ায় আরাকান ইতোমধ্যে প্রায় জনমানবহীন জনপদে পরিনত হয়ে গেছে।

রাখাইন ( সাবেক আরাকান) রাজ্যের বিশাল উর্বর ভূমি চাষাবাদ করার মত লোকবল রাখাইনে তখন ছিল না। এর ফলে রাখাইনের ব্রিটিশ শাসকগণ পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে পালিয়ে যাওয়া জনগোষ্ঠিকে রাখাইনে ফিরে আসতে উৎসাহিত করতে লাগলেন।

ফলে চট্টগ্রাম অঞ্চল থেকে রোহিঙ্গা মুসলিম জনগোষ্ঠি সহ অন্যান্য জনগোষ্ঠির বহু লোকজন রাখাইনে তাদের নিজ ভূমিতে ফিরে যান। অনেক গোড়া বার্মিজ ইতিহাসবেত্তাগন এই প্রত্যাবর্তন কে রাখাইনে অবৈধ অভিবাসন বলে আখ্যায়িত করেন। প্রকৃতপক্ষে এটি ছিল এসব জনগোষ্ঠির তাদের স্বদেশ ভূমিতে প্রত্যাবর্তন।

৫. দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন ১৯৪২ সালে জাপান কর্তৃক আরাকান দখলের সময় বার্মিজ বুদ্ধিস্টরা আরাকানে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠির উপর ব্যাপক গনহত্যা চালায় যার ফলে ১৯৪২-১৯৪৫ সালের মধ্যে আরাকানে প্রায় এক লক্ষ রোহিঙ্গা মৃত্যুবরন করে।

পরবর্তীতে ১৯৪৮ সালে বার্মা ব্রিটিশদের কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভ করলে অং সান বার্মার গনতান্ত্রিক নেতা নির্বাচিত হন এবং তিনি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠার জন্য সংলাপের উদ্যোগ নেন। কিন্তু পরবর্তীতে তাকে তার দলবলসহ হত্যা করা হয় এবং অপশক্তি অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করেন। বার্মার সামরিক শাসনামলেও বিভিন্ন সময়ে রোহিঙ্গাদের উপর ধ্বংশযজ্ঞ চালানো হয়েছে।

বার্মিজ জান্তা সরকার ১৯৭৭ সালে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর অপারেশন নাগামি পরিচালনা করেন যার ফলে প্রায় দুই লক্ষ রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠি পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় লাভ করেন। পরবর্তীতে জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় বাংলাদেশ বার্মার সাথে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেন যার মাধ্যমে অধিকাংশ রোহিঙ্গা বার্মায় ফিরে গিয়েছিল।

১৯৮৯ সালে বার্মার সামরিক সরকার বার্মার নাম পরিবর্তন করে মিয়ানমার রাখেন। মিয়ানমারের সামরিক কর্তৃপক্ষ ১৯৯১ সালে পুনরায় এক ধ্বংশযজ্ঞ পরিচালনা করেন যার ফলে প্রায় আড়াই লক্ষ রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠি বাংলাদেশে পালিয়ে আসেন। পরবর্তীতে ১৯৯২-১৯৯৭ সালের মধ্যে আরেকটি চুক্তির মাধ্যমে প্রায় দুই লক্ষ ত্রিশ হাজার রোহিঙ্গা জনগন কে মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হয়।

৬. ইতিহাস পর্যালোচনা করে দেখা যায় যে রাখাইনে রোহিঙ্গা গনহত্যা কোন নতুন ঘটনাবলী নয় বরং এটি মধ্যযুগ থেকেই ধারাবাহিকভাবে চলে আসছে। মিয়ানমার সরকার রোহিঙ্গাদের কখনোই তাদের জনগোষ্ঠি বলে স্বীকার করতে চান না।

বর্তমানে মিয়ানমার রোহিঙ্গাদের স্বীকার না করলেও ১৯৭৮ সালের দিকে যেসব রোহিঙ্গা এদেশে পালিয়ে আসতেন তাদের কাছে বার্মিজ ন্যাশনাল রেজিস্ট্রেশন কার্ড ( এনআরসি ) পাওয়া যেত।

কিন্তু ১৯৯১-৯২ সাল থেকে রোহিঙ্গাদের কাছ থেকে এন আর সি কেরে নেওয়া হয়। এ থেকে প্রতীয়মান হয় যে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ রোহিঙ্গাদের পূর্বে স্বীকার করলেও এখন পরিকল্পিতভাবেই অস্বীকার করছেন। রাখাইনে এত হত্যাযজ্ঞ ও ধ্বংশযজ্ঞ সাধন করা সত্বেও মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ নির্লজ্জভাবে তা অস্বীকার করে যাচ্ছে।

সম্প্রতি জাতিসংঘের একটি স্বাধীন ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশন রাখাইনে তথ্যানুসন্ধান করে তাদের প্রতিবেদন দিয়ে স্পষ্টভাবে বলেছেন যে রাখাইনে গনহত্যা সংঘটিত হয়েছে এবং মিয়ানমারের ঘটনাবলি বিচারের জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আই সি সি) প্রেরনের জন্য সুপারিশ করা হয়েছে।

জেনোসাইড বিষয়ক কনভেনশন ১৯৪৮ ও ২০০২ সালের রোম স্টেটিউটে একইভাবে গণহত্যাকে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে এবং এসব অপরাধের বিচারের জন্য রোম স্টেটিউটের মাধ্যমে একটি আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত গঠন করা হয়েছে। মিয়ানমার রোম স্টেটিউটের পক্ষরাষ্ট্র না হলেও তার ক্ষেত্রে তদন্ত করা যেতে পারে মর্মে অনেক আন্তর্জাতিক আইনবেত্তাগন অভিমত ব্যক্ত করেছেন।

অনেক আইনবিদ অভিমত ব্যক্ত করেছেন যে, রোহিঙ্গা বিতারনের অপরাধটি রোম চুক্তির একটি পক্ষ রাষ্ট্রের (বাংলাদেশের) ভূ-খন্ডে আংশিকভাবে হলেও সংঘটিত হয়েছে বলে টেরিটোরিয়াল জুরিসডিকশনের নীতি অনুসারে এর তদন্তের এখতিয়ার আইসিসির রয়েছে। আইসিসি যদি তদন্ত করেও তথাপি আন্তর্জাতিক আইনের বিধান অনুসারে অভিযুক্তরা মিয়ানমারে অবস্থান করলে তাদের গ্রেফতার সম্ভব হবেনা।

অভিযুক্ত সামরিক কর্মকর্তাদের গ্রেফতার করে আন্তর্জাতিক আইনে বিচার করে দণ্ডিত করা সম্ভব না হলেও এ তদন্ত ও প্রতিবেদন মিয়ানমারের উপর ব্যাপক বৈশ্বিক চাপ সৃষ্টি করবে। আর এ আন্তর্জাতিক চাপই পারে রোহিঙ্গা সংকটের স্থায়ী মিমাংসার পথে মিয়ানমারকে পথ চলতে বাধ্য করতে।

লেখক:  জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক ও স্নাতকোত্তর। বর্তমানে তিনি সহকারী জাজ হিসেবে পটুয়াখালীতে কর্মরত আছেন।

/ এআর /

 


** লেখার মতামত লেখকের। একুশে টেলিভিশনের সম্পাদকীয় নীতিমালার সঙ্গে লেখকের মতামতের মিল নাও থাকতে পারে।
Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি