ঢাকা, মঙ্গলবার   ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪

রোহিঙ্গা এতিম শিশুর সংখ্যা ৪০ হাজার ছাড়িয়ে যেতে পারে

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২০:০৫, ১০ নভেম্বর ২০১৭

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সেনাবাহিনীর নির্মম নির্যাতনের মুখে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের ওপর জরিপ চালিয়ে এ পর্যন্ত ৩৬ হাজার ৩৭৩ জন এতিম শিশু শনাক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে গত বুধ ও বৃহস্পতিবার দু’দিনেই শনাক্ত হয়েছে এক হাজার ৮১৫ জন।

সমাজকল্যাণ অধিদফতরের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা ধারণা করছেন এখনও যেভাবে এতিম শিশু শনাক্ত হচ্ছে, তাতে এ সংখ্যা কয়েকদিনের মধ্যে ৪০ হাজার ছাড়িয়ে যেতে পারে।

সমাজসেবা অধিদফতরের উদ্যোগে ‘মিয়ানমার ন্যাশনাল অরফান চাইল্ড’ কার্যক্রমের আওতায় এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে। এদিকে এখনও মিয়ানমার থেকে রোহিঙ্গারা আসছে। গত ৮-১০ দিন যাবৎ প্রতিদিন গড়ে এক হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশ করছে।

শরণার্থীরা ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনের (আরআরআরসি) রিপোর্ট অনুযায়ী, ২৫ আগস্টের পর থেকে এ পর্যন্ত বাংলাদেশে অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গাদের সংখ্যা ৬ লাখ ২৬ হাজার।

সমাজসেবা অধিদফতরের অতিরিক্ত পরিচালক (কার্যক্রম) ও ‘মিয়ানমার ন্যাশনাল অরফান চাইল্ড’ প্রকল্পের সমন্বয়কারী সৈয়দা ফেরদৌস আখতার শুক্রবার (১০ নভেম্বর)  বলেন, ‘আমরা ভাবছি এ মাসের মধ্যে এতিম রোহিঙ্গা শিশুদের শনাক্ত করার কাজ শেষ করতে পারবো।’

রোহিঙ্গারা এখনও আসছে। এই জনস্রোত আরও বাড়লে প্রকল্পের কাজ কিছুটা দীর্ঘায়িত হতে পারে। এতিমদের সংখ্যাও ৪০ হাজার ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান ফেরদৌস আক্তার।

সমাজসেবা অধিদফতরের ৮০ জন কর্মী ক্যাম্পগুলোতে গিয়ে খুঁজে খুঁজে অনাথ শিশুদের শনাক্তের কাজ করছেন। তারা বিভিন্ন ক্যাম্পে গিয়ে শিশুর অভিভাবক ও মাঝিদের সহায়তায় সঠিক তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহের মাধ্যমে এতিম শিশুদের শনাক্ত করছেন।

এদের মধ্যে যারা বাবা-মা দু’জনকেই হারিয়েছে, যারা শুধু বাবা হারিয়েছে, যারা প্রতিবন্ধী, আর যারা মা-বাবার খোঁজ পাচ্ছে না- এমন চারটি শ্রেণিতে এদের ভাগ করা হচ্ছে। শিশু আইন অনুযায়ী ১৮ বছর পর্যন্ত বয়সীদের শিশু হিসেবে গণনা করে তালিকাভুক্ত করা হচ্ছে।

টেকনাফের পাঁচটি ক্যাম্পে শনাক্তকরণের কাজ শেষ হয়েছে। শনাক্ত হওয়া সব এতিম শিশুকে সমাজকল্যাণ অধিদফতরের পক্ষ থেকে স্মার্ট কার্ড দেওয়া হবে।

এদিকে এতিম রোহিঙ্গা শিশুদের সুরক্ষার জন্য তাদের আবাসস্থল ‘শিশুপল্লি’ নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। প্রকল্প বাস্তবায়নে প্রাথমিকভাবে উখিয়ার নিবন্ধিত কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মধুছড়া এলাকায় ২ শ’ একর জমিও নির্ধারণ করা হয়েছে। এতিম রোহিঙ্গা শিশুদের শনাক্ত করার কার্যক্রম শেষ হলে আগামী মাসে শিশুপল্লির কার্যক্রম শুরু করার পরিকল্পনা রয়েছে।

এসব পিতৃ-মাতৃহীন শিশুদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে একটি বিশেষ সুরক্ষা অঞ্চল করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ওই বিশেষ অঞ্চলে বিশেষ যত্নে দেখভাল করা হবে এসব শিশুদের।

সূত্র: বাসস

কেআই/ডব্লিউএন


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি